তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কর্মসূচিটি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা!
তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’-এর প্রস্তুতি ঘিরে শুক্রবার এমনই বেনজির ঘটনার সাক্ষী রইল হাওড়ার জগৎবল্লভপুর। ব্লক বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এটা ‘রাজনৈতিক সৌহার্দ্য’। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমান, শীঘ্রই ওই বিজেপি নেতা-কর্মীরা তাঁদের দলে যোগ দেবেন। তাই এই উদ্যোগ। আজ, শনিবার থেকে দু’দিনের ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিতে হাওড়ায় থাকবেন অভিষেক। রবিবার তাঁর কর্মসূচি রয়েছে হাওড়া সদর মহকুমায়। জগৎবল্লভপুরের আজাদ কলেজের মাঠে তাঁর রাত্রিবাসের জন্য ছাউনি তৈরি হচ্ছে। এখানে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটাভুটিও হবে।
শুক্রবার এ নিয়েই চলছিল প্রস্তুতি। ছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। হঠাৎই সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন বিজেপির জগৎবল্লভপুর ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সৈকত দেব। দেখা যায়, শ্রমিকদের চা-জল খাওয়াচ্ছেন তাঁরা। ব্যবস্থাপনা যাতে যথাযথ হয়, সে ব্যাপারেও শ্রমিকদের সতর্ক করেন সৈকতেরা। সৈকতের দাবি, ‘‘এখানকার সব ক’টি বুথে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি জেতে। যে মাঠে ওই কর্মসূচি হচ্ছে, সেটির মালিকেরাও বিজেপির পদাধিকারী। আগে এই কর্মসূচিকে ঘিরে কিছু জায়গায় গোলমাল হয়েছে। তাই মনে হয়েছে, এখানে শান্তি বজায় রাখতে আগাম সহযোগিতার বার্তা দিই।’’
হাওড়া জেলা সদর বিজেপি সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওখানে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের খাবার ও জল দিতেই সৈকত গিয়েছিলেন। ওখানে বিজেপির মজবুত সংগঠন রয়েছে। ওখানে কোনও অশান্তি ছড়ালে যাতে বিজেপিকে দায়ী না-করা হয়, সেই বার্তাই দেওয়া হয়।’’
ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুবীর চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এটা সৌজন্য নয়, বোধোদয়। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা বুঝতে পেরেছেন, নব জোয়ার রাজ্যে জনপ্লাবনে পরিণত হয়েছে। ওঁরা পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছেন। হয়তো দলবদল করবেন। তাই এই সহযোগিতা।’’
আজ, অভিষেকের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে গ্রামীণ হাওড়া দিয়ে। রয়েছে পদযাত্রা, জনসভা, ভোটাভুটি। কর্মসূচি চলাকালীন রাস্তায় যাতে গরু, কুকুর, ছাগল না উঠে পড়ে, সে জন্য গ্রামীণ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy