রায়গঞ্জে ‘চায়ে পে চর্চা’র আগে প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র
আইপিএস অফিসারদের ডেপুটেশনে চেয়ে কেন্দ্রের চিঠি নিয়ে রাজ্য সরকারকে ফের তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার রায়গঞ্জে 'চায়ে পে চর্চা'-য় হুমকির সুরে তিনি বলেন, ‘সবে তো ডাক পড়েছে।’ এই ইস্যুতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখেছেন। এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন কল্যাণও।
ডায়মন্ড হারবারে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে তিন আইপিএস প্রবীণ ত্রিপাঠী, রাজীব মিশ্র এবং ভোলানাথ ত্রিপাঠীকে কেন্দ্রে ডেপুটেশনের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তা নয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাত চরমে উঠেছে।
এই আবহেই রবিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে প্রাতঃভ্রমণে বের হন দিলীপ। তার পর শহরের মোহনবাটি এলাকায় একটি ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র ডাকলে রাজ্যের কেউই যান না। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কেউই যান না। এবার আইপিএস-দের ডেকেছে। সবে তো ডেকেছে। আরও ডাক আসবে।’’
আরও পড়ুন: কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে কারা রাজ্যের এই তিন আইপিএস অফিসার
আরও পড়ুন: বুদ্ধদেবের অবস্থার আরও উন্নতি, সন্তুষ্ট চিকিৎসকেরা
কেন্দ্রের ওই চিঠির জবাবে কল্যাণ একটি চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে। তা নিয়ে এ দিন শ্রীরামপুরের সাংসদকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘‘কল্যাণ কোন হরিদাস পাল? উনি কেন চিঠি লিখবেন? মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারের কেউ লিখলে আলাদা বিষয়। উনি একজন সাংসদ। ওঁর চিঠি লেখার কোনও অধিকার নেই, আর সেই চিঠির কোনও গুরুত্বও নেই। ওঁকে আমরা ভোটে হারিয়ে ঘরে ঢুকিয়ে দেব।’’ আইনজীবী হিসেবে কল্যাণের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, উনি তো তৃণমূলের মামলা ছাড়া অন্য কোনও মামলায় লড়েননি। তৃণমূলের হয়েও যে সব মামলায় সওয়াল করেছেন, তার অধিকাংশেই হেরেছেন।’’
কল্যাণ অবশ্য দিলীপের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘আইনজীবী হিসেবে দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে আমার সার্টিফিকেট নিতে হবে না। উনি একটা গুন্ডা, মস্তান। সংবিধান, আইন সম্পর্কে ওঁর কোনও জ্ঞান নেই।’’ চিঠির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘উনি জানেনই না একজন সাংসদের কী এক্তিয়ার রয়েছে, আর কী নেই।’’
রবিবার দিনভর উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আরও কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে দিলীপ ঘোষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy