হাওড়া ব্রিজে আটক অ্যাম্বুল্যান্সের পথ করে দিচ্ছে পুলিশ— নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল মধ্য কলকাতা। বিজেপি সমর্থকদের আটকাতে পুলিশ বিভিন্ন পথে ব্যারিকেড বসানোর সাধারণ যানবাহনের পাশাপাশি বহু অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে। মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আতান্তরে পরিজনেরা।
বিজেপি সমর্থকদের আটকাতে এদিন সকাল থেকেই নবান্নমুখী প্রতিটি রাস্তায় ব্যারিকেড বসায় পুলিশ। ফলে আটকে পড়ে যানবাহন। বেলা গড়াতে বিজেপি সমর্থকেরা পথে নামার পরে ক়ড়াকড়ি আরও জোরদার হয়। ফলে হাওড়া ও কলকাতার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বড়বাজার, পোস্তা, স্ট্যান্ড রোড-সহ মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যায় নিশ্চল গাড়ির সারি।
একই দৃশ্য ছিল হাওড়া ব্রিজের (রবীন্দ্র সেতু) উপরেও। ব্যারিকেড, টিয়ার গ্যাস, জলকামান-সহ সেখানে প্রায় ৫০০ পুলিশের বাহিনী মোতায়েন ছিল। ছিল দমকলও। সাধারণ যানবাহনের পক্ষে ব্যারিকেড পেরিয়ে হাওড়া-কলকাতা যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়ে। ট্যাক্সি বা বাসে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কখন, কোন পথে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে তা বুঝতে পারছিলেন না চালকেরা।
আরও পড়ুন: ইটবৃষ্টি হাওড়া ব্রিজে, বোমাবাজি শহরে
এই পরিস্থিতিতে অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। তারই মধ্যে অভিযানকারীদের সঙ্গে ব্রিজের উপর পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় ব্রিজর উপর ইটবৃষ্টিও।
অ্যাম্বুল্যান্স-সহ অত্যাবশকীয় পরিষেবার গাড়িগুলিকে অবশ্য ছাড় দিয়েছিল পুলিশ। তাদের আটকানো হয়নি। কিন্তু ব্যারিকেডের জট কাটিয়ে এগোনো তাদের পক্ষেও ছিল যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। পুলিশি ব্যারিকেডের ফলে স্ট্র্যান্ড রোডেও এ দিন ছিল একই চিত্র। অভিযানকারীরা পথে নামার পর অনেক জায়গাতেই পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ, বচসা এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ রাস্তা আটকানোয় যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়। সব মিলিয়ে থমকে যায় মধ্য কলকাতা এবং তার লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy