Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Mamata Banerjee

Sukanta Majumder: অনুব্রত কেন এখনও গ্রেফতার হয়নি, সেটাই তো আশ্চর্য! বললেন বিজেপি-র সুকান্ত

বিজেপি-র সত্যান্বেষী দলের রিপোর্ট সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর সঙ্গে বিজেপি-র কী সম্পর্ক?’’

ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২ ১৪:১৯
Share: Save:

অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের ছক কষা হচ্ছে। বুধবার এমন অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ শুনে ‘আশ্চর্য’ হয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মন্তব্য, এত দিন কেন গ্রেফতার করা হয়নি অনুব্রতকে!

বগটুই-কাণ্ডের পর বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা পাঁচ জনের এক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গঠন করেন। সেই দলের সদস্যেরা সম্প্রতি বগটুই এসেছিলেন। বিজেপি-র ‘সত্যান্বেষী’ সেই কমিটি বুধবারই বগটুই-কাণ্ড নিয়ে তাদের রিপোর্ট তুলে দিয়েছে নড্ডার হাতে। সেই রিপোর্টকেই ‘অভিসন্ধিমূলক’ বলে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে এক সূত্রে গেঁথে বুধবার আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ওই রিপোর্টে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতির (অনুব্রত) নাম। এর মাধ্যমে অনুব্রতকে গ্রেফতার করার ছক কষা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মমতা।

মমতার অভিযোগ শোনার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত বলেন, ‘‘অনুব্রত এত দিন কেন গ্রেফতার হননি, সেটাই তো অদ্ভুত ব্যাপার! ওঁর তো অবশ্যই গ্রেফতার হওয়া উচিত। সিবিআই গরুপাচার কাণ্ডে ডাকছে। আর উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তির রাজনীতিতে থাকা সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক। যিনি গুড়-বাতাসা, চড়াম-চড়াম রাজনীতির কথা বলেন, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হবে না!’’

বগটুই-কাণ্ডের পরে রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তোলে। ২২ মার্চ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা পাঁচ সদস্যের একটি সত্যান্বেষী কমিটি তৈরি করে দেন। সেই কমিটিতে সুকান্তের পাশাপাশি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা আইপিএস ভারতী ঘোষ। উল্লেখযোগ্য ভাবে দলে থাকা বাকি তিন সদস্যও প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা সাংসদ সত্যপাল সিংহ এবং কর্নাটকের প্রাক্তন আইজি কে সি রামমূর্তি। ২৩ মার্চ রাতে কলকাতায় আসা তিন সাংসদকে নিয়ে পরের দিন বগটুই যান সুকান্ত, ভারতীরা। বুধবার দিল্লিতে নড্ডার বাসভবনে গিয়ে কমিটির পাঁচ সদস্য সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। বিজেপি-র সত্যান্বেষী দলের রিপোর্ট সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, ‘‘সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর সঙ্গে বিজেপি-র কী সম্পর্ক? আদালতের রায়েই তো স্পষ্ট, রাজ্যের মানুষের পুলিশের উপর আস্থা নেই।’’

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি-র ওই রিপোর্টে অনুব্রতের নাম রয়েছে। সত্যিই কি রয়েছে? সুকান্তের জবাব, ‘‘আমরা রিপোর্টে কোনও আলাদা লাইন ঢোকাইনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে আমাদের সদস্যেরা কথা বলেছেন, সেটাই রিপোর্টে লিপিবদ্ধ করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE