কলকাতায় কংগ্রেসের সমাবেশে অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দল গোপনে সমঝোতা করেই চলেছে বলে ফের সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যে এসে একই সুর সিপিএমের সর্বভারতীয় নেত্রী বৃন্দা করাটের গলাতেও। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য পাল্টা কটাক্ষ করেছে, এ সব কথা বলেই বাম-কংগ্রেস রাজ্যে শূন্য হয়ে গিয়েছে।
শিক্ষায় দুর্নীতি-সহ নানা কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে ও যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার ধর্মতলার কাছে প্যারাডাইস সিনেমা চত্বরে জনসভার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। মঞ্চ বেঁধে মাইক লাগাতে পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়েছে বলে কংগ্রেস অভিযোগ করলেও সভা হয়েছে ওখানেই। সেখানেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিশানা করেন বিজেপি ও তৃণমূলকে। তাঁর অভিযোগ, দেশ জুড়ে কর্মসংস্থানের ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নজর নেই। বিজেপি শুধু বিভাজনের রাজনীতিতে ব্যস্ত। ভোট এলেই তারা সিএএ-এনআরসি ঝুলি থেকে বার করে বলেও দাবি করেছেন অধীরবাবু। আর কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলকে বিঁধে তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপির সম্পর্ক হল — দিল্লিতে দোস্তি আর বাংলায় কুস্তি! দিদি-মোদীর এই লোক ঠকানো কাণ্ড-কারখানা এখন মানুষ ধরে ফেলেছে!’’ অধীরবাবুর আরও অভিযোগ, ‘‘এ রাজ্যে বালি-পাথর থেকে শুরু করে চাকরি পর্যন্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে! যোগ্য চাকরি-প্রার্থীরা দিনের পর দিন খোলা আকাশের নীচে বসে আছেন, আন্দোলন চালাচ্ছেন আর দিদির সরকার কখনও রাতের অন্ধকারে পুলিশ পাঠিয়ে, কখনও শারীরিক ভাবে আক্রমণ করে আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করছে।’’ সভায় ছিলেন অসিত মিত্র, মহম্মদ মুখতার, সৌম্য আইচ রায়, সুমন পাল, তপন আগরওয়াল, কৌস্তুভ বাগচী, তাপস মজুমদারেরা। সৌম্য দাবি করেন, গ্রুপ ডি চাকরি-প্রার্থীদের দায়িত্ব সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের। পরে গান্ধী মূর্তির কাছে চাকরি-প্রার্থীদের অবস্থানেও গিয়েছিলেন অধীরবাবু।
একই দিনে হুগলির চন্দননগরে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ২৯তম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশে সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য বৃন্দার বক্তব্য, ‘‘দু’নৌকায় পা রেখে চলা যায় না! কোনও সমস্যা হলেই দিদি-মোদীর গোপন আঁতাঁত কাজে লাগানো হয়। এ রাজ্যে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সবটাই এখন জেলবন্দি অবস্থায়। রাজ্য ও কেন্দ্রের গোপন আঁতাঁতেই দুর্নীতির রাজধানী হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ!’’
তৃণমূলের নেতা তাপস রায় পাল্টা বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের আগে গোপন আঁতাঁত ছিল। সেই জন্যই কংগ্রেস দলটা ভেঙেছিল। পরে সেই সমঝোতা প্রকাশ্যে এসেছে, জোট হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে দুর্ভাগ্যের যে, দু’টি দলই এখন বিধানসভায় শূন্য। এই সব কথা বলেই ওরা শূন্য হয়েছে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy