Advertisement
E-Paper

মহালয়ার সকালে মহানগরে দৌড় ‘নেশামুক্তির’ লক্ষ্যে, ‘সেবাপক্ষ’কে সামনে রেখে যুব-সংযোগে বিজেপি

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও ‘নেশামুক্তি’ সংক্রান্ত প্রচার ও কর্মসূচি আগেই হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের কয়েকটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে মাদকচক্র এবং মাদক সেবনের রমরমা রুখতেই মূলত এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:০০

— প্রতীকী চিত্র।

‘নেশামুক্তি’র বার্তা নিয়ে মহানগরের রাজপথে দৌড়। সে দৌড়ে যুব সমাজকে বেশি করে শামিল করার পরিকল্পনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে দেশজোড়া যে ‘সেবাপক্ষ’ পালন করবে বিজেপি, তার অঙ্গ হিসেবেই এই দৌড়ের পরিকল্পনা। কলকাতায় এই দৌড়ের জন্য বেছে নেওয়া হল ২১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মহালয়ার সকালকে। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতা, নাকি দক্ষিণ, দৌড় কোথায় হবে, তা নির্ভর করছে পুলিশি অনুমতির উপরে।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও ‘নেশামুক্তি’ সংক্রান্ত প্রচার ও কর্মসূচি আগেই হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশের কয়েকটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে মাদকচক্র এবং মাদক সেবনের রমরমা রুখতেই মূলত এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী চান, গোটা দেশের যুব সমাজকেই এই কর্মসূচি তথা প্রচার ছুঁয়ে যাক। তাই প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে পালিত ‘সেবাপক্ষ’ কর্মসূচিতেও এই প্রচারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘নেশার বিরুদ্ধে নবভারত ম্যারাথন’। দেশের সব বড় শহরেই বিজেপি ১৭ সেপ্টেম্বর (মোদীর জন্মদিন) থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই দৌড়ের আয়োজন করতে চায়। মূল লক্ষ্য যে হেতু যুব সমাজ, তাই যুবমোর্চাকেই এই দৌড় আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

‘নবভারত ম্যারাথন’ নাম দেওয়া হলেও কলকাতায় বিজেপি যে এই দৌড়ের জন্য যে দৈর্ঘ্যের পথ বেছেছে, তাকে ‘ম্যারাথন’ বা ‘হাফ ম্যারাথন’ কোনওটাই বলা যাবে না। উত্তর কলকাতায় হলে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি পর্যন্ত। আর দক্ষিণ কলকাতায় হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের এলগিন রোডের বাড়ি থেকে ঋষি অরবিন্দের শেক্সপিয়র সরণির বাড়ি পর্যন্ত। প্রথম যাত্রাপথটির দৈর্ঘ্য মেরেকেটে ২ কিলোমিটার। দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য তার চেয়ে ২০০ মিটার বেশি। কলকাতার দুই অংশেই বিজেপির এই দৌড় হবে, এমন নয়। পুলিশ শেষ পর্যন্ত যেটির অনুমতি দেবে, সেই পথেই এই ‘নেশামুক্তির পক্ষে দৌড়’ আয়োজিত হবে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

বিজেপির এই কর্মসূচি কি শুধু ‘নেশামুক্তি’র বার্তা দিতেই? নাকি তার পাশাপাশি ভোটের আগে বাংলার যুবসমাজে নিজেদের জনসংযোগও বাড়িয়ে রাখার পরিকল্পনাও? রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘মোদীজির জন্মদিন উপলক্ষে দু’সপ্তাহ ধরে সারা দেশে একগুচ্ছ সেবামূলক এবং সামাজিক কর্সূচি চলবে। এই দৌড় সেগুলির মধ্যেই একটা। পশ্চিমবঙ্গে সামনে ভোট থাকতে পারে। অন্যান্য রাজ্যে তো নেই। সেখানেও তো এই দৌড়ের আয়োজন হচ্ছে। সুতরাং ভোটের দিকে তাকিয়ে কিছু যে হচ্ছে না, সে কথা বলাই বাহুল্য।’’ তবে যুবসমাজে জনসংযোগ বাড়ানোর ইচ্ছা যে দলের রয়েছে, তা সুকান্ত অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, ‘‘যুবসমাজই তো দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা যুবসমাজকে সুরক্ষিত রাখতে চাই। তাই নেশার থেকে দূরে রাখতে চাই। সুতরাং যুবসমাজকেই যে বেশি করে শামিল করার চেষ্টা হবে, সেটাই স্বাভাবিক।’’

কলকাতায় এই কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ করতে শনিবারই বিজেপির রাজ্য দফতরে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। সে বৈঠকে বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্তও ছিলেন। কলকাতায় এই কর্মসূচি আয়োজনের সামগ্রিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।

BJP Bengal Addiction run West Bengal Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy