Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
Rajyasabha Election 2023

বিজেপির ‘ডামি’ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার: ডেরেক, সুখেন্দু, অনন্তেরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায়

বিধানসভা সূত্রে খবর, আগামী সোমবার সাধারণ রাজ্যসভা নির্বাচনে ছয় জন এবং উপনির্বাচনে এক জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হবে।

শনিবার বিধানসভায় এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন বিজেপির ডামি প্রার্থী রথীন্দ্র বসু।

শনিবার বিধানসভায় এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন বিজেপির ডামি প্রার্থী রথীন্দ্র বসু। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৩
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন বিজেপির ডামি প্রার্থী রথীন্দ্র বসু। শনিবার ছিল রাজ্যসভার ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। শনিবার বিধানসভায় এসে সহ-সচিবের কাছে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি। আর তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, আগামী ২৪ জুলাই বিধানসভায় আর রাজ্যসভা নির্বাচনের আসর বসবে না। মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীরা বিনা প্রতিন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হবেন। বিধানসভা সূত্রে খবর, আগামী সোমবার সাধারণ রাজ্যসভা নির্বাচনে ছয় জন এবং উপনির্বাচনে এক জন প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হবে।

রথীন্দ্রর মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে জানানো হয়েছে, কৌশলগত কারণেই ডামি প্রার্থী দিয়েছিল তাঁরা। শুক্রবার ছিল রাজ্যসভা ভোটের স্ক্রুটিনিপর্ব। সেই পর্বে তৃণমূলের ছয় জন প্রার্থী-সহ বিজেপির অনন্ত মহারাজ এবং ডামি প্রার্থী রথীন্দ্রের মনোনয়ন গৃহিত হয়। তার পরেই গেরুয়া শিবির শনিবারেই ডামি প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘দল একটা অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়ে রেখেছিল। এই ধরনের প্রার্থী সাধারণত নির্বাচনের দেওয়া হয়ে থাকে। প্রার্থী নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনও সমস্যা হলে, যাতে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা যায়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আমাদের ডামি প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আর নির্বাচনের সুযোগ রইল না।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘অনন্ত মহারাজ কোচবিহারের বাসিন্দা। তিনি উত্তরবঙ্গে বহু সামাজিক সংস্কারের কাজ করেছেন। তাই তাঁর মতো এক জন ব্যক্তিকে বিজেপি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা গর্বিত।’’ প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে বিজেপি গঠনের পর এই প্রথম বাংলা থেকে কোনও রাজ্যসভার সাংসদ পাবে গেরুয়া শিবির।

সেই সিদ্ধান্ত মেনেই শনিবার বিধানসভায় এসে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন রথীন্দ্র। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিজেপির রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত মহারাজ। কিন্তু তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত এক জন প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মতো অনন্তর মনোনয়ন জমা দেওয়া শেষ হলে বিজেপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রথীন্দ্র। তিনিও উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্র। তাঁকেই ডামি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায় বিজেপি। কিন্তু তিনি নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আর ভোটের অবকাশ নেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভা নির্বাচনে।

রথীন্দ্র সরে দাঁড়ানোয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক-ও-ব্রায়েন, উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়, শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন, অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম এবং আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ বড়াইক। আর এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন। সেই আসনে জয়ী হয়ে রাজ্যসভায় যাবেন অনন্ত। আর যে একটি আসনে উপনির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই আসনেও বিনা প্রতিন্দ্বিতায় জয়ী হবেন দিল্লির বাসিন্দা তথা সমাজকর্মী সাকেত গোখলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE