বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন। —নিজস্ব চিত্র।
আগামী ৬ মার্চ বারাসতের কাছারি মাঠে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রে খবর, ওই সভা থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে সরব হবেন তিনি। মোদীর সেই সন্দেশখালি-বার্তা এ বার গোটা দেশের মহিলাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে বিজেপি। ওই দিন (৬ মার্চ) বিজেপির মহিলা মোর্চা প্রতি বুথে, ব্লকে এমনকি বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ‘শক্তি বন্ধন’ কর্মসূচি নিতে চলেছে। কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে মোদীর বক্তব্য ভার্চুয়ালি সভার মাধ্যমে শোনানো হবে। মহিলাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এখন থেকেই প্রচার চালাবে মহিলা মোর্চা। তা ছাড়া ওই দিন জেলায় জেলায় মিছিল করবেন মোর্চার সদস্যরা।
সন্দেশখালি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে ৬ মার্চ সভা কথা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেই ‘মহিলা ন্যায় সমাবেশের’ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবারই কলকাতায় আসেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন। পরে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে পাশে নিয়ে মহিলা মোর্চার এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন তিনি।
রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা, মোদীর সভায় সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’-দের উপস্থিত করানো হবে। আলাদা মঞ্চ করে বসানো হবে তাঁদের। সেখানে মুখ ঢেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন তাঁরা।
লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি সংক্রান্ত প্রতিবাদ-বিক্ষোভে এখনই ইতি টানতে চাইছে না বিজেপি। বরং উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ওই আন্দোলনকে কলকাতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। শুক্রবার সকালে সন্দেশখালি নিয়ে আগামী দিনে দল কোন পথে চলবে, তা স্থির করতে বৈঠকে বসেন রাজ্যের শীর্ষ নেতারা। বিজেপি সূত্রে খবর, বৈঠকেই স্থির হয়, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল।
ধর্না কর্মসূচিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এই ধর্না চলবে। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে কোনও এক দিন সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলাদেরও ধর্নামঞ্চে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy