মৌমিতা বিশ্বাস। ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি।
কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ঝোপ থেকে আইনের এক ছাত্রীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম মৌমিতা বিশ্বাস (২২)। তিনি আইনের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাড়ি খড়দহ থানা এলাকার পাটুলিয়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কল্যাণীর একটি বেসরকারি কলেজে পড়তেন মৌমিতা। কলেজের কাছেই পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন। তবে বাড়িতে যাতায়াত করতেন মাঝে মাঝেই। বৃহস্পতিবার রাতে কলেজের কাছেই গুলির আওয়াজ শুনতে পান কলেজেরই নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর দেন পুলিশেও। পুলিশ এসে খোঁজাখুঁজি করতেই রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে থেকে মৌমিতার রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধার হয়। মৌমিতার মাথার পিছনে গুলির চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগের ভিতর থেকে মৌমিতার কোচিং সেন্টারের ঠিকানা পায় পুলিশ। কোচিং সেন্টারে ফোন করে পুলিশ বিষয়টি জানায়। কোচিং সেন্টার থেকে মৌমিতার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে মৌমিতার বাবা বিমান বিশ্বাস এসে দেহ সনাক্ত করেন। বিমানবাবু পেশায় এক জন পুলিশকর্মী। তিনি খড়দহ থানার কনস্টেবল হিসাবে কর্মরত।
আরও খবর: বহু সম্পর্কের জেরেই কি খুন হতে হল মৌমিতাকে?
পুলিশকে মৌমিতার বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কলেজে যাচ্ছি বলে মেয়ে বাড়ি থেকে বেরোয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মেয়ের সঙ্গে ফোনে বিমানবাবুর শেষ বারের মতো যোগাযোগ হয়। তখন মৌমিতা বিমানবাবুকে জানিয়েছিলেন কলেজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি বাড়ি ফিরছেন। অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখনই ভয়ঙ্কর ফোনটা আসে বিমানবাবুর কাছে।
কে বা কারা খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ যার সঙ্গে এই খুনের সম্পর্ক থাকতে পারে। মৌমিতার ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। কিন্তু মাস ছয়েকের মধ্যেই স্বামীর থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন মনোমালিন্যের জেরে । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলেও তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। কোনও কোনও সূত্র থেকে পুলিশের কাছে খবর, একই সময় একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন মৌমিতা। এই সম্পর্কের জটিলতাতেই কি মৌমিতা মৃত্যু রহস্যে কারণ লুকিয়ে আছে? পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy