রেললাইন থেকে এক তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, বীথি মণ্ডল (১৮) নামে ওই তরুণী থাকতেন হাবড়ার ফুলতলা মণ্ডলপাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার সংহতি স্টেশনের কাছে। সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে বনগাঁগামী ট্রেন যাওয়ার পরে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় রেললাইনে পড়ে আছেন বীথি। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় বনগাঁ রেল পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
গোবরডাঙা হিন্দু কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তরুণী। এনসিসি-র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বাবা অনুপ মণ্ডলের কথায়, ‘‘মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে রেললাইনে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই পুরো ঘটনাটি স্স্পপষ্ষ্টট হবে।’’
অনুপ জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পুজো দিয়ে তাঁর কাছে ঘুগনি খাবেন বলে ২০ টাকা চেয়ে নেন বীথি। বলেছিলেন, সংহতি স্টেশনে ঘুগনি খেতে যাচ্ছেন। সাড়ে ৭টা নাগাদ খবর আসে, তরুণীর দেহ পড়ে আছে রেললাইনে। অনুপের দাবি, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, সন্ধ্যায় দু’টি ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাঁর মেয়ে। স্টেশনের কাছে একসঙ্গে চা খান তাঁরা। কোনও বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষে তর্কাতর্কি হয়েছিল বলেও তিনি জানতে পেরেছেন, দাবি অনুপের। তরুণীর মা বাসন্তী মণ্ডলও বলেন, ‘‘আমার মেয়ে কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)