তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে কী ভাবে তাজা বোমা এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রতীকী ছবি।
সাতসকালে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যার নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গায় ওই বাড়িতে কাজের সময় এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন রাজমিস্ত্রি। যদিও ওই সদস্যার স্বামীর দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এই চেষ্টা করেছেন বিরোধীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও কয়েকটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর চাঁদপুর এলাকায় সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই বাড়িটি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা সহি সুলতানাদের নামে রয়েছে। তাঁদের বাড়িতে কী ভাবে এই তাজা বোমা এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উত্তর চাঁদপুর এলাকায় রাস্তার ধারে সহি সুলতানা এবং তাঁর স্বামী আব্দুল হাকিম মোল্লার বাড়ির নির্মাণকাজ চলছিল। ঘটনার সময় সেখানে দু’জন রাজমিস্ত্রি কাজ করছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির মধ্যে ৪টি তাজা বোমা রাখা ছিল। রবিবার সকালে কাজ করার সময় বাড়িটির সিঁড়ির নীচে কোদাল দিয়ে নোংরা পরিষ্কার করতে যান এক রাজমিস্ত্রি। সে সময় কোদালের আঘাতে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সাতসকালে বোমার আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। অল্পের জন্য বেঁচে যান রাজমিস্ত্রিরা। তবে তাঁদের মুখে ও হাত-পায়ে আঘাত লাগে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও ৩টি তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের পর থানায় ফোন করে বড়বাবুকে খবর দিই। এখানে মোট ৪টি বোমা রাখা ছিল। পুলিশ নিয়ে এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে। আমাদেরও থানায় যেতে বলেছে। আমাদের বাড়ি তৈরির সময় বিল্ডিংয়ের সিঁড়িঘরে প্লাস্টার করা হচ্ছিল। আজ সকালে সিঁড়ির তলায় কাজ করছিলেন মিস্ত্রিরা। সকালে সেখানে নোংরা পরিষ্কার করতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে এক মিস্ত্রি আহত হয়েছেন। অন্য জনের সামান্য লেগেছে।’’
এই ঘটনার পিছনে বিরোধীদের হাত দেখছেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিল্ডিংটা এলাকার সাধারণ মানুষের ওঠাবসার জন্য ছেড়ে রেখেছি। কোনও উন্নয়নের কাজ হলে সে নিয়ে কথাবার্তার জন্য আমরা এখানে বসি। কেউ পরিকল্পনা করেই এটা করেছেন। সামনে (পঞ্চায়েত) ভোট। তার আগে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy