Advertisement
E-Paper

১৫ লাখ টাকা দিয়েও তালা পড়ল বৈবাহিক জীবনে! দরজার বাইরে ঠায় বসে থেকে পুলিশে শারমিন

বিয়ের সময় ১৫ লাখ টাকা পণ হিসাবে দিয়েছিল বধূর পরিবার। তা সত্ত্বেও সংসার টিকল না! তালা পড়ল বধূর বৈবাহিক জীবনে। শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে ঠায় বসে থেকে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শারমিন খাতুন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১২
শারমিন খাতুন।

শারমিন খাতুন। —নিজস্ব চিত্র।

বিয়ের সময় ১৫ লাখ টাকা পণ হিসাবে দিয়েছিল বধূর পরিবার। তা সত্ত্বেও সংসার টিকল না! তালা পড়ল বধূর বৈবাহিক জীবনে। শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে ঠায় বসে থেকে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন শারমিন খাতুন।

শারমিন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার চালন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাণসাগর এলাকার বাসিন্দা। ২০২২ সালে দুর্গাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওয়েস কুড়ানির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। বিয়ের পর থেকেই শারমিনের পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শারমিনের পরিবার ১৫ লাখ টাকা দেয় প্রথমে। তা সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়িতে সেই ভাবে ঠাঁই মিলত না বধূর। বেশির ভাগ সময়েই বাপের বাড়িতে কাটাতেন তিনি।

পরিবার সূত্রে খবর, মাস পাঁচেক স্বামীর দুর্গাপুরের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন শারমিন। তখন সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। গত শুক্রবার অফিসের কাজে বালুরঘাটে গিয়েছিলেন শারমিন। ফিরে এসে দেখেন বাড়ির সদর দরডায় তালা ঝুলছে। দীর্ঘ ক্ষণ দরজার সামনে বসে থেকেও কেউ ফেরেননি। এমনকি ফোন করলেও উত্তর দেননি আত্মীয়স্বজনেরা।

শারমিন বলেন, ‘‘শনিবার সকালেও একই ভাবে দরজার সামনে বসে ছিলাম। কেউই ফিরে এল না। অবশেষে তপন থানায় যাই। অভিযোগ দায়ের করি। বৈবাহিক জীবন অক্ষুণ্ণ রাখতে আইনের সাহায্য চেয়েছি।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে।

Fraud
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy