Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশে পাচারের পথে উদ্ধার কোটি টাকার পোশাক, ধৃত ছয়

শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, সেই ছয় পাচারকারীর দুজন বাংলাদেশি। ছজনকেই শুক্রবার আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৫২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রূপোলি পর্দার চিত্রনাট্যকেও হার মানানোর মতো ঘটনা। মাঝ রাতে মাঝ নদীতে তাড়া খেয়ে পাচারকারীরা পাড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মাটিতে। তাঁদের ধরতে পাড়ে ঝাঁপালেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর অফিসারেরা। সঙ্গে কলকাতার শুল্ক দফতরের প্রিভেনটিভ শাখার কর্তারা। স্থানীয় থানাকে সতর্ক করা হল। রাতে এলাকার চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ধরা হল ছয় পাচারকারীকে। ভারত থেকে লুকিয়ে নদীপথে বাংলাদেশে প্রায় সোওয়া তিন কোটি টাকার শাড়ি ও লেহেঙ্গা পাচার করছিল তাঁরা।

শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, সেই ছয় পাচারকারীর দুজন বাংলাদেশি। ছজনকেই শুক্রবার আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাংলাদেশিদের দুজনের ভারতে ঢোকার কোনও বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।

ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার রাতে। শুল্ক দফরের কাছে পাচারের আগাম খবর চলে আসে। জানা যায়, সাগর দ্বীপ থেকে ডায়মন্ডহারবারের দিকে আসছে পাচারকারীদের লঞ্চ। সুন্দরবনের খাঁড়ি দিয়ে লঞ্চে করে বাংলাদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। মাঝ নদীতে উপকূলরক্ষীদের মোটরবোট নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন শুল্ক অফিসারেরা। দূর থেকে বিপদ বুঝে লঞ্চের মুখ ঘুরিয়ে পালাতে থাকেন পাচারকারীরা। তাড়া করে বাহিনীর বোট। হুগলি নদীতে গেঁওখালির কাছে পাড়ের কাছে লঞ্চ লাগিয়ে কাদা মাটির মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছয় পাচারকারী অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। তাঁদের তাড়া করেন শুল্ক ও বাহিনীর অফিসারেরা। খবর পাঠানো হয় মহিষাদল থানাতেও।

আরও পড়ুন: আক্রান্ত লক্ষের দোরে, অনুমতি মিললে ভারতে পরীক্ষায় তৈরি সিরাম​

আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিংসার চার্জশিটে ইয়েচুরিরা!

সোমবার ভোরে ওই এলাকা থেকেই ধরা পড়ে যান পাচারকারীরা। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, তাঁদের লঞ্চ থেকে পাওয়া গিয়েছে ৪০০ বস্তা বোঝাই শাড়ি ও লেহেঙ্গা। এ সমস্তই গুজরাত থেকে আসছিল। লঞ্চ থেকে বাংলাদেশি কিছু ব্যক্তির পরিচয়পত্র, বাংলাদেশি সিম লাগানো মোবাইল এবং বাংলদেশের জাতীয় পতাকাও পাওয়া গিয়েছে। শুল্ক অফিসারদের সন্দেহ, ভারত থেকে নদীপথে লুকিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পরে ওই পতাকা লঞ্চে লাগানোর কথা ছিল তাঁদের। যাতে বাংলাদেশের পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষীদের সেই লঞ্চ দেখে সন্দেহ না হয়।

এই ছয় পাচারকারীকে কলকাতায় এনে দীর্ঘ জেরা করার পরে গত শুক্রবার গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, গুজরাতের শাড়ি ও অন্য জামাকাপড়ের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। মাঝেমধ্যেই সুন্দরবনের নদীপথ দিয়ে এই সব মালপত্র মাছ ধরার ট্রলারে করে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে।

BSF Smuggling
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy