জাল পাসপোর্ট চক্রে ধৃত রাজ্য পুলিশের ট্রাফিক হোমগার্ডের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ধৃত হোমগার্ড মহম্মদ ইমরানের জামিনের আর্জির শুনানি ছিল। শুনানিতে মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই হোমগার্ডকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না। এই জাল পাসপোর্ট মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্তের থেকে ইমরান ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্যও উঠে এসেছে। এই অবস্থায় অভিযুক্তকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না বলে মনে করছে বিচারপতি ঘোষের একক বেঞ্চ।
এই মামলায় অভিযুক্ত হোমগার্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত। ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর থানা এলাকায় তদন্তে উঠে আসে ইমরানের নাম। তদন্তে জানা যায়, ভদ্রেশ্বর থানা এলাকায় ৮৩টি ভুয়ো পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে ১১ জনের আধার কার্ড ব্যবহার করেছেন অভিযুক্তেরা। তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধরা পড়েন হোমগার্ড ইমরানও। পরবর্তী সময়ে তদন্তের আরও অগ্রগতির সঙ্গে পুলিশ জানতে পারে, ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে অন্যতম মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ হালদার ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ওই হোমগার্ডকে। এমনকি পুলিশকর্মী হিসাবে পাসপোর্ট তৈরির জন্য ভুল গোয়েন্দা তথ্যও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে ওই হোমগার্ডের জামিন বাতিল করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন:
বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযোগ, ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার একটি চক্র চলছিল। দীর্ঘ দিন ধরে এই চক্র সক্রিয় ছিল। কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক এলাকায় হানা দিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে কলকাতা পুলিশের এক প্রাক্তন সাব ইনস্পেক্টরও ধরা পড়েছিলেন।