পাঁচ বছর আগে মালদহের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩,৩০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ওই জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন সাত হাজার ৩৯৪ জন।
বন্যাত্রাণ দুর্নীতি-মামলায় তদন্ত করতে ক্যাগকে দায়িত্ব দিল হাই কোর্ট। নিজস্ব চিত্র।
মালদহের বন্যাত্রাণ দুর্নীতি-মামলায় তদন্ত করতে ক্যাগকে ( কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) দায়িত্ব দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই দুর্নীতি-কাণ্ডে সঠিক তদন্ত হয়নি। কয়েক লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। ফলে এই ঘটনার তদন্ত ক্যাগ-এর মতো নিরপেক্ষ সংস্থাকে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার আসল ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাঁচ বছর আগে মালদহের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩,৩০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ওই জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন সাত হাজার ৩৯৪ জন। অভিযোগ, সেখানে বরাদ্দ ক্ষতিপূরণের অর্থ থেকে প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এই দাবিতে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন উচ্চ আদালতে। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে ওই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে ক্যাগ।
মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ত্রাণের তালিকায় নাম থাকলেও সে টাকা পাননি বলে দুর্গতদের অনেকেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে, তালিকায় দুর্গতদের নামের পাশে অন্য অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে দিয়ে ত্রাণের টাকা তোলা হয়েছে। ফলে এর থেকে পরিষ্কার এতে প্রচুর টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণেই ক্যাগ-কে তদন্তভার দিয়েছে হাই কোর্ট।’’ আগামী ২০ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। অন্য দিকে, ওই দু্র্নীতিতে বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল প্রশাসন। তিনি এখন পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy