ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রত্যাহার সংক্রান্ত মামলায় এখনই হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাই কোর্ট। এমনকি, এখন অর্জুনকে কোনও অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা দেওয়ারও নির্দেশ দেয়নি উচ্চ আদালত। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চের নির্দেশ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্তে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ নয়। তবে এ বিষয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে হবে।
অর্জুনের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলকে আগে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হত। এখন দলবদলের কারণে নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এলাকাটি এমনিতেই উত্তেজনাপ্রবণ। তার উপর হুমকির শিকার হচ্ছেন অর্জুন। এই যুক্তি মানতে নারাজ কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর যুক্তি, নিজের এলাকারই সাংসদ অর্জুন। তার উপর তিনি এখন শাসকদলে রয়েছেন। ফলে যে কারণে তাঁকে কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল এখন সেই প্রয়োজন নেই। তাই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
পরে অর্জুনের আইনজীবী অন্তত ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা যাতে দেওয়া হয় সেই আর্জি করেন। আদালত অবশ্য সেই আর্জিতেও সাড়া দেয়নি। তবে অর্জুনের নিরাপত্তার বিষয়টি আপাতত রাজ্যকে দেখতে বলেছে হাই কোর্ট। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘অনেক রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। সবার তো নিরাপত্তা থাকে না। শ’য়ে শ’য়ে কর্মী-সমর্থকরাই ঘিরে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নেতাকে কর্মীরাই নিরাপত্তা দিচ্ছেন। কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখনই আদালত তাতে নাক গলাতে চাইছে না।’’
এর আগে এই মামলায় ব্যারাকপুরের ‘বাহুবলী’ নেতার আর্জি শোনেনি হাই কোর্ট। অর্জুনের মামলায় বিচারপতি শম্পা সরকারের পর্যবেক্ষণ ছিল, সিআইএসএফ নোটিস দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আদালত আপাতত পুলিশের তরফ থেকে কোনও গাফিলতি খুঁজে পায়নি।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে আবারও তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটে ব্যারাকপুরের ‘দাপুটে’ নেতার। দলবদলের পরই সাংসদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সকালে অর্জুনের জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রত্যাহারের নোটিস আসে। এই নোটিস পেয়ে বেজায় চটেন সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy