কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
এক বছর আগে নিয়ম মেনে হয়ে গিয়েছে রেজিস্ট্রেশন। কিন্তু সেই নথি পর্ষদের কাছে পৌঁছয়নি! ফলে যথাসময়ে আসেনি অ্যাডমিট কার্ডও। স্কুলের সে বিষয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই! স্কুল কর্তৃপক্ষ জানেনই না যে, তাঁদের আলমারিতে ২৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের নথিতে ধুলো জমছে। ফলে পরীক্ষায় বসতেই পারবে না ওই পড়ুয়ারা।
স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির এই অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। আদালত মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে অবিলম্বে ২৫ জন ছাত্রীর জন্য অস্থায়ী অ্যাডমিট কার্ড তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
মালদহের ভগবানপুরের কেবিএস হাই স্কুল থেকে এ বছর মোট ৮৩১ জন পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। তার আগে রাজ্যের কোনায় কোনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছে পর্ষদ থেকে পৌঁছে গিয়েছে অ্যাডমিট কার্ড। কিন্তু এখনও অ্যাডমিট পাননি কেবিএস স্কুলের ওই ২৫ পড়ুয়া। বাকিরা অ্যাডমিট কার্ড পেলেও তাদের কাছে কেন মাধ্যমিকের অতি প্রয়োজনীয় ওই নথি এল না, তা জানতে স্কুলে খোঁজ নিয়েছিলেন অভিভাবকেরা।
তখনই জানা যায়, এক বছর আগে মাধ্যমিকের জন্য ওই পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। কিন্তু সেই নথি স্কুলেই রয়ে গিয়েছে। পর্ষদের কাছে আর পাঠানো হয়নি। স্কুলের আলমারি ঘাঁটতেই ধুলোমাখা সেই নথি বেরিয়ে আসে। পড়ুয়াদের মাধ্যমিক নিয়ে চূড়ান্ত সঙ্কট তৈরি হয়। আদালতে ছোটেন অভিভাবকেরা।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওই মামলার শুনানি ছিল। অভিভাবকদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। স্কুলের আইনজীবী ছিলেন সারওয়ার জাহান। আদালত গাফিলতির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলেছে। সেই সঙ্গে পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে অস্থায়ী অ্যাডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করে ওই পড়ুয়াদের মাধ্যমিকে বসা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ভাবেই যেন পড়ুয়াদের পরীক্ষা না আটকায়, তা দেখতে বলেছেন বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy