ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। আগামী ২১ জানুয়ারি নওশাদ সিদ্দিকির দলকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ন’টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত। ওই শর্ত মেনে সভা করতে পারবে আইএসএফ।
আরও পড়ুন:
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার আইএসএফের মামলার শুনানি ছিল। কত লোক জড়ো হতে পারবেন সেই সভায়, ক’টা থেকে ক’টা পর্যন্ত সভা চলবে, সবই নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি। সভার জন্য যে ন’টি শর্ত দেওয়া হয়েছে আইএসএফকে, সেগুলি হল—
- সভায় এক হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না।
- লম্বা এবং চওড়ায় সভার মঞ্চ ২০ ফুটের বেশি করা যাবে না।
- ২১ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত সভা করা যাবে।
- সভা থেকে কোনও আপত্তিকর বা উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না।
- সভার কাজ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করতে হবে আয়োজকদের।
- সভার কারণে যান চলাচলে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তা দেখতে হবে। গাড়ি চলার জন্য রাস্তা ছেড়ে রাখতে হবে।
- পুলিশ এবং অয়োজকদের সভার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। রাজ্যকে সভাস্থল এবং আশপাশে পর্যাপ্ত পুলিশের বন্দোবস্ত করতে হবে।
- সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে সভার মঞ্চ তৈরির কাজ করা যাবে না।
- সভাস্থলে ১৫টির বেশি গাড়ি নিয়ে যেতে পারবে না আইএসএফ।
আদালতে নওশাদের দলের পক্ষে মামলাটি লড়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে পুলিশের অনুমতি পায়নি আইএসএফ। তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। প্রথমেই আদালত সেই অনুমতি দেয়নি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, গত বছর রানি রাসমণি রোডে আইএসএফকে কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অশান্তির অভিযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা। সেই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে আদালতে হলফনামা দিতে বলা হয় আইএসএফকে। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করা নিয়ে আইএসএফের আবেদনের পাল্টা যুক্তি আদালতে দিয়েছিল রাজ্যও। তাদের দাবি ছিল, যে দিন আইএসএফ কর্মসূচি করতে চাইছে, সে দিন ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। একটি মিছিল যাওয়ার কথা রয়েছে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে দিয়ে। আগে থেকে অনুমতিও নেওয়া রয়েছে। আর সেই কারণেই পুলিশ আইএসএফকে ওই জায়গায় সভা করার অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছে রাজ্য। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বৃহস্পতিবার নওশাদদের শর্তসাপেক্ষে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।