E-Paper

শিল্পপতির বিরুদ্ধে মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আদালতের

কোর্টে শিল্পপতির পরিবারের আইনজীবীদের দাবি, এই একই ঘটনায় বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় একটি এফআইআর আছে। সেই একই ঘটনায় ব্যারাকপুর সাইবার ক্রাইম থানাতেও এফআইআর হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৭
কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রাজ্যের এক শিল্পপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর কমি‌শনারেটে দায়ের হওয়া সাইবার অপরাধের তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত শুক্রবার বিচারপতি উদয় কুমারের নির্দেশ, এফআইআর খারিজের জন্য ওই শিল্পপতির আইনজীবীরা যে যুক্তি দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তাই আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যারাকপুরের সাইবার অপরাধ থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর স্থগিত থাকবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর।

ওই শিল্পপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে সাইবার জালিয়াতির টাকা ঢুকেছে বলে পুলিশের দাবি। সেই সূত্রে ৬ নভেম্বর ওই শিল্পপতির বালিগঞ্জের বাড়ি, কড়েয়া এবং পার্ক স্ট্রিটের অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা। ৬টি মোবাইল, ১১টি ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক ও সার্ভার, সাতটি ওয়াইফাই রাউটার, প্রচুর প্যান কার্ড, চেকবই, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, ১২টি পেন ড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। একটি দুবাইয়ের সিম কার্ডও উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর পরেই ব্যারাকপুরের সাইবার অপরাধ থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়।

কোর্টে শিল্পপতির পরিবারের আইনজীবীদের দাবি, এই একই ঘটনায় বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানায় একটি এফআইআর আছে। সেই একই ঘটনায় ব্যারাকপুর সাইবার ক্রাইম থানাতেও এফআইআর হয়েছে। একই ঘটনায় দু’টি পৃথক এফআইআর আইনত বৈধ নয়। পুলিশের এই কাজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে শিল্পপতির পরিবারের আইনজীবী কোর্টে হস্তক্ষেপ দাবি করেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক ভাবে মামলাকারীর আর্জি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করা হচ্ছে ও তাই এ ব্যাপারে বিশদ শুনানির জন্য তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে।

তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ভুয়ো লগ্নি অ্যাপের পাশাপাশি ডিজিটাল গ্রেফতারি-সহ বিভিন্ন সাইবার প্রাতারণার টাকা ওই শিল্পপতির বা তাঁর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। মূলত ওই শিল্পপতির পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ১৪৮টি শেল কোম্পানির অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩১৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। পুলিশের দাবি, ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে ১৩৭৯টি প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছিল। যার তদন্তে ওই শিল্পপতি ও তাঁর পরিবারের নাম উঠে আসে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Calcutta High Court Cyber Crime

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy