স্কুুল খোলা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে শুরু হল শুনানি। শুক্রবার শুনানির শুরুতেই মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভার্চুয়াল ক্লাস করা যায় না। সশরীরে পড়ুয়াদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়া জরুরি।’’ শুনানিতে আর কী কী হল...
- আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন অনেক পড়ুয়ার ভার্চুয়াল মাধ্যমে পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই। তারা ক্লাস করতে পারছে না। স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। তারা কি আবার স্কুলে ফেরত আসবে?
- রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘‘সবাই স্কুল খুলতে আগ্রহী। অনলাইন এবং অফলাইন ক্লাসের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এটা আমি মানছি।’’
- ‘‘কিন্তু সব শেষে কিছু হলে দায়িত্ব রাজ্যকেই নিতে হবে’’, বলেন এজি।
- পুজোর পর স্কুল বন্ধ করতে চেয়ে মামলা হয়েছিল। তার পর পরিস্থিতি বুঝে সরকার স্কুল বন্ধ করে দেয়। এখন আবার স্কুল খুলতে চেয়ে মামলা হয়েছে। মামলাকারীদের কেউ অভিভাবক নন। হাই কোর্টে জানান এজি।
- রাজ্যের তরফে আদালতে এও বলা হয়, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রায় ৪৫ লক্ষের বেশি টিকা দরকার। ১২ বছরের নীচে টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। সরকারের প্রাথমিক কর্তব্য হল শিক্ষা প্রদান করা।
- দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর হাই কোর্ট জানায়, মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি।
- ওই দিন রাজ্য জানাবে, এই বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসাবে কী করছে। জানানো হয়, এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
শুনানির শেষে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁদের মামলা শুনেছে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, শীঘ্র স্কুল খুলতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে তাঁরা আবার একই আবেদন করবেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে চতুর্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর হাই স্কুলের শিক্ষক প্রিয়ঙ্কর ভট্টাচার্য। হলফনামায় তিনি দাবি করেন, শীঘ্রই স্কুল হোক। তার আগে এই দাবিতে তিনটি মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। তার মধ্যে একটি সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর।