Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Lalan Sheikh

লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হাই কোর্ট, দিল্লি এমসে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ

সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বগটুই মামলার প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। সেই মামলাতেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে দ্বিতীয় মত চাইল আদালত।

লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিল্লি এমসে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের।

লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিল্লি এমসে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের। — ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৫
Share: Save:

বগটুই মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লির এমস এবং কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। দুই হাসপাতাল নতুন করে লালনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নিজেদের মত জানাবে। নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।

গত ১৪ ডিসেম্বর, কলকাতা হাই কোর্টে লালনের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে আপত্তি জানায় সিবিআই। সেই প্রেক্ষিতে আদালতে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের কথা ওঠে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, লালনের দেহ কবর দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করতে গেলে মাটি খুঁড়ে তা তুলতে হবে। সে কথা শুনে আদালত দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়নি। সেই রিপোর্টই এ বার যাবে দিল্লির এমস এবং কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা সেই রিপোর্ট দেখে তাঁদের মত জানাবেন আদালতকে, নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।

গত ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআইয়ের হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয় লালনের। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তের এ ভাবে মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সিবিআই দাবি করে, আত্মঘাতী হয়েছেন লালন। অন্য দিকে, লালনের স্ত্রী দাবি করেন, সিবিআই মারধর করে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। তিনি সাত সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, হুমকি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা করেন।

রাজ্য সরকারের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তবে আদালত জানিয়ে দেয়, এই ঘটনায় সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না সিআইডি। সেই তদন্তে রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন রাজ্য সিআইডির আইজি (২) সুনীলকুমার চৌধুরী। সিআইডি আধিকারিক এবং ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। বগটুই গ্রামে গিয়ে রেশমা-সহ বিভিন্ন জনের বয়ান নথিভুক্ত করেন তাঁরা। জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ঘটনার দিন লালনের সঙ্গে সিবিআই ক্যাম্পে থাকা অভিযুক্ত বন্দি জাহাঙ্গির শেখকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE