E-Paper

সিআইডির ‘গাফিলতি’, কড়া সতর্কতা কোর্টের

এ দিন সিআইডির রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ইনস্পেক্টর পদের একজন অফিসার, হোমিসাইড শাখার ওসি হয়ে আইন জানেন না! অদ্ভুত সব পুলিশদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে সিআইডি!’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫০

— প্রতীকী চিত্র।

একটি খুনের ঘটনার তদন্তে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখার ওসি-র ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে তাঁর প্রশ্ন, চার্জশিটে নাম থাকা ২৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারলেও কেন ফেরার হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি? ‘গাফিলতির’ জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এ দিন তাঁর নির্দেশ, পুলিশি রিপোর্টের ত্রুটি নিয়ে ডিআইজি (সিআইডি) ‘এনকোয়ারি’ করবেন এবং তদন্তকারীরা কী কী কড়া পদক্ষেপ করেছেন সে ব্যাপারে পরবর্তী শুনানিতে রিপোর্ট দেবেন। ২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

এ দিন সিআইডির রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ইনস্পেক্টর পদের একজন অফিসার, হোমিসাইড শাখার ওসি হয়ে আইন জানেন না! অদ্ভুত সব পুলিশদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে সিআইডি!’’ যদিও রাজ্যের কৌঁসুলি বলেন যে ওই রিপোর্ট অনেক দিনের পুরনো। আর এক বার সুযোগ দিলে সব বিভ্রান্তি দূর করা হবে।

আদালতের খবর, ২০১৫ সালে নদিয়ার কালীগঞ্জে এক পরিবারের একাধিক সদস্যকে মারধর করে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তভার পায় সিআইডি। মোট ৪৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। নিম্ন আদালতে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়েছে। চার্জশিটে বাকি ২৩ জনের নাম থাকলেও তাঁদের গ্রেফতার করেনি সিআইডি। ‘ফেরার’ হিসেবে ঘোষণা করে কোনও কড়া পদক্ষেপও করা হয়নি বলে অভিযোগ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Calcutta High Court CID Murder Case

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy