Advertisement
E-Paper

পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে হাজিরা দিতে হবে সিআইডি ডিআইজিকে, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৩
বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের শুনানিতে হাজিরা দিতে হবে সিআইডি ডিআইজিকে।

বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের শুনানিতে হাজিরা দিতে হবে সিআইডি ডিআইজিকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গোর্খা টেরিটোরিয়াল প্রশাসন (জিটিএ) শিক্ষক নিয়োগ দু্র্নীতি মামলায় সিআইডি ডিআইজিকে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের শুনানিতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল আদালত। আদালতবান্ধব নিয়োগ করে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন বিচারপতি বসু। এ বার এই মামলায় সিআইডি ডিআইজিকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।

জিটিএ মামলায় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ একাধিক নাম ছিল। সেই অভিযোগে সিবিআইকে অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দিতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর বেঞ্চে যায় রাজ্য। কিন্তু সেখানে ধাক্কা খেতে হয় রাজ্য সরকারকে।

২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখে। যদিও রাজ্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গবইয়ের বেঞ্চ রাজ্যের যুক্তি মেনে নিয়ে জানিয়েছিল, হাই কোর্ট তাড়াহুড়ো করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, ‘‘আমি দেখেছি পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও প্রক্রিয়া মানা হয় না। সারা রাজ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু পাহাড়ে কেন হয় না? পাহাড়ে কি এসএসসি রয়েছে? তারা কি কাজ করে?’’ আদালত বান্ধব নিয়োগের কথাও জানান। এ বার সিআইডি ডিআইজিকে আদালতে হাজিরার কথা জানালেন তিনি।

Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy