Advertisement
E-Paper

বিকল্প ডিগ্রি নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০২২-এর টেট প্রার্থীরা, জানাল হাই কোর্ট

আনিকুল ইসলাম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর দুই ধরনের প্রশিক্ষণ ডিগ্রি ছিল। তাঁরা আগে যে ডিগ্রি দেখিয়ে আবেদন করেছিলেন, পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা বাতিল হয়ে যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৩

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

২০২২ সালে প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় তথা নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, বিকল্প প্রশিক্ষণ ডিগ্রিকে মান্যতা দিয়ে মামলাকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ করে দিতে হবে। এর জন্য দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। অর্থাৎ, মামলাকারীরা বিকল্প ডিগ্রির ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।

আনিকুল ইসলাম-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর দুই ধরনের প্রশিক্ষণ ডিগ্রি ছিল। তাঁরা আগে যে ডিগ্রি দেখিয়ে আবেদন করেছিলেন, পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা বাতিল হয়ে যায়। এখন বিকল্প ডিগ্রির ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পর্ষদের কাছে আবেদন জানান ওই চাকরিপ্রার্থীরা। এ বার হাই কোর্ট তাঁদের ওই আবেদন মঞ্জুর করল।

বিএডের প্রশিক্ষণ রয়েছে, আবার ডিএলএডের প্রশিক্ষণও নেওয়া রয়েছে, এমন বহু প্রার্থী ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় তাঁদের ফর্মে শুধু বিএড প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তা থেকে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের একটি নির্দেশে জানিয়েছিল, বিএড প্রশিক্ষিতেরা প্রাথমিকের নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই ২০২২ সালের টেটে যাঁরা নিজেদের বিএড প্রশিক্ষিত হিসাবে দেখিয়েছিলেন, তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছিলেন না। গত জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে ওই সংক্রান্ত জট কেটে যায়। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, পরীক্ষার্থীরা ফর্মে যা-ই লিখে থাকুন, ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলেই তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।

২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় ১২ হাজার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণও করেন বহু পরীক্ষার্থী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরে পরীক্ষার ফর্মে ‘বিএড’ লেখা পরীক্ষার্থীদের ওই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়। যার বিরোধিতা করে পর্ষদের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই পরীক্ষার্থীরা। হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল মামলাকারীদের পক্ষেই। আদালত বলেছিল, যে হেতু পরীক্ষার্থীদের ডিএলএড প্রশিক্ষণ রয়েছে, তাই তাঁদের ফর্মগুলিকে ডিএলএডেই পরিবর্তন করে নেওয়া হোক। পর্ষদ যদিও সেই নির্দেশ মানেনি। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় পর্ষদ। তাদের যুক্তি ছিল, প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ ডিএলএড— সে কথা জানা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীরা ফর্মে ‘বিএড’ লিখেছেন। তার পরেও তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে কেন? পর্ষদের ওই যুক্তি সুপ্রিম কোর্টে গ্রাহ্য হয়নি।

এ বার কলকাতা হাই কোর্ট পর্ষদকে নতুন প্যানেল প্রকাশ করার কথা জানাল। তাদের পর্যবেক্ষণ, বিকল্প প্রশিক্ষণ ডিগ্রিকে মান্যতা দিয়ে মামলাকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ করে দিতে হবে।

Calcutta High Court West Bengal TET 2022
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy