—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন এত দিন পরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা করতে চাইছে, সেই প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নিয়ে চেয়েছে সিবিআই। তার পরেই আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, অভিযুক্ত জামিন পেতে পারেন ভেবেই কি সিবিআই হেফাজতে নিতে চাইছে? এ দিন সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করলেও আগাম জামিনের মামলায় আপাতত হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির ইডি-র মামলায় ইতিমধ্যেই সুজয়কৃষ্ণের জামিনের আর্জির শুনানি হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে শেষ হয়েছে। তবে এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। এ দিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি বাগচীর পর্যবেক্ষণ, ‘‘ইডি-র মামলায় গ্রেফতার হয়ে অভিযুক্ত দেড় বছর ধরে হাজতে আছেন। এখন তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন পেতে পারেন। তাই কি সিবিআই ঝাঁপিয়ে পড়ল? তদন্ত করতে হলে এত দিন কী করছিল?’’
সিবিআইয়ের তরফে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল ধীরাজ ত্রিবেদী এ দিন কোর্টে দাবি করেন যে অভিযুক্তকে আগেই 'শোন অ্যারেস্ট' (একটি মামলায় হেফাজতে থাকার সময়ে অন্য মামলায় ধৃত বলে দর্শানো) করা হয়েছে। কিন্ত হাসপাতালে থাকার জন্য হেফাজতে নেওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের আবেদন আদালতে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও দাবি করেন আইনজীবী।সিবিআইয়ের এই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে বক্তব্য পেশের জন্য সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল সুজয়কৃষ্ণের (যিনি কালীঘাটের কাকু নামেও পরিচিত)। ২০২৩ সালের ৩০ মে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গত সোমবার তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে নিম্ন আদালতে হাজির করানোর আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। ‘বুকে ব্যথার’ জন্য তিনি হাজির হতে পারেননি। তার পরেই বুধবার আগাম জামিনের আর্জিজানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy