E-Paper

ব্যাঙ্ককে জরিমানা, তদন্ত-নির্দেশ

আদালতের নির্দেশ, মোট কত টাকার প্রতারণা করা হয়েছে সেই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বেসরকারি ব্যাঙ্ককে সুদ সমেত সেই টাকা মামলাকারী সংস্থাকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে কমিটি। রায় ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৫ ০৭:০৯
কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক প্রতারণার মামলায় সম্প্রতি এক বেসরকারি ব্যাঙ্ককে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি পার্থসারথি সেনের নির্দেশ, ওই টাকা পাবে সংশ্লিষ্ট মামলাকারী সংস্থা। এ ছাড়াও, এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের কমিটি। ব্যাঙ্ক আইন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা পালন না করা এবং কী ভাবে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আর্থিক প্রতারণা করা হল সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করবে এই কমিটি।

আদালতের নির্দেশ, মোট কত টাকার প্রতারণা করা হয়েছে সেই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বেসরকারি ব্যাঙ্ককে সুদ সমেত সেই টাকা মামলাকারী সংস্থাকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে কমিটি। রায় ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আদালতের খবর, ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক কর্মী এই প্রতারণা করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানতে পারে যে তাদের নাম করে কলকাতায় এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে আর্থিক লেনদেন করা হচ্ছে। মূলত কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ওই সংস্থা। বিভিন্ন মানুষের থেকে অর্থ সাহায্য এবং সরকারি অনুদান নেয় তারা। আদালত সূত্রের খবর, প্রতারণার তথ্য পেয়ে ২০১১ সালে দুর্গাপুর থানা এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কে অভিযোগ করে সংস্থা। তদন্ত করে ২০১৬ সালে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

চার্জশিটে পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত এক জন বেসরকারি ব্যাঙ্কের ওই শাখায় কর্মরত ছিলেন এবং তিনি ঘটনায় জড়িত। বেসরকারি ব্যাঙ্ক নিজের দায়িত্ব পালন করেনি, এই অভিযোগ করে ২০১৫ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে সংস্থা। সংস্থার আইনজীবী কোর্টে জানান যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্টে এই প্রতারণার ঘটনায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের নির্ধারিত ব্যাঙ্ক আইন পালন করার ক্ষেত্রে গাফিলতি এবং ত্রুটি ধরা পড়েছে। দীর্ঘ এক দশক শুনানির পর এই বছরের এপ্রিল মাসে মামলার শুনানি শেষ হয় এবং রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি পার্থসারথি সেন। সম্প্রতি সেই রায় ঘোষণা করেন তিনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bank Fraud Case Calcutta High Court Private Bank

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy