কলকাতা শহরে মোট সরকারি আবাসনের সংখ্যা এবং তাতে খালি ফ্ল্যাটের সংখ্যা জানতে চাইল হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের একটি সরকারি আবাসন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণম কলকাতা শহরের সরকারি আবাসনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। এ ব্যাপারে রাজ্যের আবাসনসচিবের কাছ থেকে বিস্তারিত হলফনামা তলব করেছেন তিনি। প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, হাই কোর্টের কর্মীদের অনেকেই দূর থেকে
যাতায়াত করেন। ট্রেনের গোলমাল হলে সময়ে অফিস পৌঁছতে পারেন না। তাই সরকারি আবাসন থেকে তাঁদেরও বাড়ি বরাদ্দ হওয়া প্রয়োজন। আবাসন দফতরের হলফনামা পেলে তিনি হাই কোর্টের কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
এ দিন মূল মামলাটি ছিল দুর্গাপুর শহরের সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাট বেসরকারি সংস্থাকে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া নিয়ে। এ ব্যাপারে এ দিন উষ্মা প্রকাশ করেছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চের
পর্যবেক্ষণ, সরকারি আবাসন সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি হয়। বেসরকারি সংস্থাকে তা দেওয়া প্রশাসনিক ব্যর্থতা। সরকারি সম্পত্তি সংরক্ষণ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। ওই আবাসনের ৯১টি ফ্ল্যাট বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সরকারি আবাসনের ফ্ল্যাট বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার ব্যাপারে আবাসন সচিব, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক, আবাসন আধিকারিক বা এস্টেট ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার কোর্টে হলফনামা জমা দেবেন। পরবর্তী কালে দুর্গাপুরের ওই সরকারি আবাসনগুলির ফ্ল্যাট বণ্টন করার পুরো প্রক্রিয়া, কাদের ওই আবাসনে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে, কারা এখনও সেখানে আছেন সেই বিষয়ে রাজ্যের কাছ থেকে আলাদা করে বিস্তারিত হলফনামাও তলব করা হবে বলে আদালত জানিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)