Advertisement
E-Paper

প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ হাই কোর্টে! রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল ডিভিশন বেঞ্চ

মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম মানা হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁদের। অন্য দিকে, রাজ্য সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ২০:১০
প্রাথমিকের চাকরি বাতিল মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল হাই কোর্ট।

প্রাথমিকের চাকরি বাতিল মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল হাই কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

প্রায় ছ’মাস পরে প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শেষ হল। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখে। ২০২৩ সালে প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্ট হয়ে ফের মামলা আসে হাই কোর্টে। এ বার সেই মামলার শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল আদালত।

মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম মানা হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁদের। অন্য দিকে, রাজ্য সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম হয়েছে। পরে তা সংশোধনও করে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই মামলার ক্ষেত্রে হাই কোর্টে কী রায় দেয়, তা নিয়ে কৌতূহল দানা বেঁধেছে আইনজীবী মহলে।

কবে রায় ঘোষণা হবে, সে বিষয়ে আদালতের তরফে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। হাই কোর্ট সূত্রে খবর, সবে শুনানি শেষ হয়েছে। প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় ঘোষণা হতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ‘টেট’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে প্রায় ৪২৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পরে ২০২৩ সালের মে মাসের ১২ তারিখ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

তাঁর নির্দেশে চাকরিচ্যুত হন প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষক। প্রাক্তন বিচারপতির রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকেরা স্কুলে যাবেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে। সেখানে যোগ্য এবং উত্তীর্ণদের চাকরি বহাল থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।

তবে একই সঙ্গে ওই ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে। হাই কোর্টের ওই দুই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং পর্ষদ। সেখানে আবেদন জানান চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, সিঙ্গল বেঞ্চ শুনানিতে সব পক্ষকে বলার সুযোগ দেয়নি। সব পক্ষের বক্তব্য শোনেনি আদালত। ওই বছর শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরে মামলা যায় বিচারপতি চক্রবর্তী এবং বিচারপতি মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে।

Primary Teacher Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy