Advertisement
E-Paper

‘এজলাস থেকেই এসএসসি আধিকারিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেব’! উচ্চ প্রাথমিক মামলায় বলল ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট

উচ্চ প্রাথমিকের এই মামলায় হাই কোর্ট এসএসসিকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ১৫ হাজার পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ এসএসসি কার্যকর করেনি বলে হাই কোর্টে অভিযোগ করেন এক চাকরিপ্রার্থী।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৬
ক্ষোভ প্রকাশ করল হাই কোর্ট।

ক্ষোভ প্রকাশ করল হাই কোর্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উচ্চ প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানিতে এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন)-এর চেয়ারম্যান-সহ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। অভিযোগ, এই মামলায় আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা কার্যকর করেনি এসএসসি। তাতেই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার বলল, ‘‘আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতেই হবে। এজলাস থেকেই আধিকারিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেব। ডেপুটি শেরিফকে ডেকে পাঠান।’’ আগামী ১৬ মে মামলা রাখা হবে। নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে কি না, বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।

উচ্চ প্রাথমিকের এই মামলায় হাই কোর্ট এসএসসিকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ১৫ হাজার পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ এসএসসি কার্যকর করেনি বলে হাই কোর্টে অভিযোগ করেন এক চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার আদালতে হাজির হন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং আধিকারিকেরা। এসএসসির আইনজীবী হাই কোর্টে জানান, আদালত কাউন্সেলিং করে নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতো এসএসসি ৯,০০০-এর বেশি পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। কিন্তু বাকি পদে ‘অনুপাত’ (রেশিও) ধরে রাখা যাচ্ছে না। কিসে সমস্যা হচ্ছে, তা উদাহরণ দিয়ে এসএসসির তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুরের কোনও স্কুলে হয়তো দু’জন শিক্ষকের প্রয়োজন। অথচ সেখানে নিয়োগ করার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনও স্কুলে বাংলা বিভাগে তিন জন শিক্ষকের প্রয়োজন। অথচ যোগ্য রয়েছেন ১০ জন। এসএসসির আইনজীবী জানিয়েছেন, এই সমস্যার কারণে বাকি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা যায়নি।

বিচারপতি চক্রবর্তী এবং বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘কোনও অজুহাত দেখাবেন না। কেন কার্যকর হয়নি নির্দেশ? তা হলে কী ভাবে কাউন্সেলিং করলেন? আপনার কী ক্ষমতা রয়েছে, জানার দরকার নেই। আদালতের নির্দেশ পালন করতে হবে। এখান থেকেই আধিকারিকদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেব।’’ এর পরেই বিচারপতিদের বেঞ্চ ডেপুটি শেরিফকে ডেকে পাঠায়। এসএসসির আইনজীবী অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কথা শুনুন।’’ বিচারপতি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এত দিন গেল, নির্দেশ কার্যকর হয়নি কেন?’’ আগামী ১৬ মে মামলা রাখা হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে কি না, বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।

Calcutta High Court Upper Primary SSC Recruitment Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy