আগেও মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিয়েছেন। কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন অতিমারি সংক্রান্ত সুরক্ষার কথা। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ
পুজো কমিটিগুলিকে কেন ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে, রাজ্য সরকারের কাছে তার স্পষ্ট কারণ জানতে চাইল হাই কোর্ট। কারণ জানানোর জন্য রাজ্য সরকারকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, তার মধ্যেই কারণ জানিয়ে আদালতের কাছে হলফনামা পেশ করতে হবে সরকারকে।রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে কেন ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এমনও প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দিতে পারছে না রাজ্য, সেখানে রাজ্যের এতগুলি পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে কী ভাবে দিচ্ছে সরকার? সোমবার এ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলারই শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে, কেন এই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, এ বিষয়ে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি রাজ্য সরকার। পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বৈঠক ডেকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে টাকা দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ এর পরই বিচারপতিদ্বয় জানিয়েছেন, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিয়ে পুজো অনুদানের কারণ জানাতে হবে।
একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে ওই দিনই মামলাটির শুনানিও হবে।উল্লেখ্য, গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। গত দু’বছর পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্যের দেওয়া অনুদানের অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার। তখনও পুজো কমিটিকে দেওয়া রাজ্যের অনুদান প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজ্য তখন জানিয়েছিল অতিমারি পরিস্থিতিতে পুজো মণ্ডপে সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্যই ওই অর্থ দেওয়া হয়েছে। তবে এ বার আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলি বিদ্যুৎ বিলেও ছাড় পাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy