ফাইল ছবি।
গত ২৮ মার্চ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে আবেদন করেন ওই বিজেপি বিধায়করা। সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার।
শুনানিতে বিজেপি বিধায়কদের আইনজীবী জয়দীপ কর সওয়াল করেন, ‘‘স্পিকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই বিধায়কদের সাসপেন্ড করেছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। লিখিত ভাবে নিজেদের বক্তব্যও জানানোর সুযোগ পাননি বিজেপির পাঁচ বিধায়ক।’’ জয়দীপের প্রশ্ন, স্পিকার কেন বিধায়কদের শোকজ না করে একেবারে সাসপেন্ড করার মতো সিদ্ধান্ত নিলেন? তাঁর দাবি, স্পিকার কোনও বিধায়ককে একেবারে পাঁচ বছর বা পূর্ণ মেয়াদের জন্য সাসপেন্ড করতে পারেন না। তা হলে এ ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম কী করে হচ্ছে? আইনজীবীর দাবি, শুভেন্দু বগটুই-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দু’ঘণ্টা আলোচনা চেয়েছিলেন। কিন্তু স্পিকার জানান, আইন শৃঙ্খলা এ ক্ষেত্রে কোনও বিষয় নয়। বিজেপির আইনজীবীর সওয়াল, ‘‘কেউ বলছেন, শুভেন্দুরা মার্শালকে মারধর করেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ করছেন, শুভেন্দু শাসক দলের মহিলা বিধায়ক ও বিধানসভার মহিলা কর্মীদের অসম্মান করেছেন। কিন্তু বিরোধী দলনেতা তো নিজের আসন থেকেই ওঠেননি! তা হলে কী করে অসম্মান করা হল?’’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বিধানসভায় শাসক, বিরোধীদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্পিকার শুভেন্দু-সহ মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মণ, শুভেন্দু ঘোষ ও নরহরি মাহাতোকে সাসপেন্ড করেন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার বিজেপির আইনজীবীর সওয়াল শেষ হয়। বৃহস্পতিবার সওয়াল করবেন স্পিকারের আইনজীবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy