অসম সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে দিসপুর ও ধুবুরিতে দায়ের করা সারদার বিরুদ্ধে দু’টি মামলার তদন্তভার হাতে নিতে রাজি হয়েছিল সিবিআই। সারদার দু’টি মামলার ভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ঘোষণাও করেন। কিন্তু সেই ঘোষণার এক বছর পরেও তদন্ত হাতে নেয়নি সিবিআই।
গত কাল গুয়াহাটি হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত এক মামলায় রাজ্য সরকার হলফনামায় জানিয়েছে, দিসপুর ও ধুবুরিতে দায়ের হওয়া দু’টি মামলার (৭৩২৮/২০১৩ এবং ২৫৬/২০১৩) তদন্তের ভার সিবিআই নিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু তাদের সরকারি ভাবে তদন্ত ভার তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। উল্লেখ্য, গত অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জারির আগেই সরকার রাজ্যের অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে হওয়া ১৫টি মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি জানান, এর মধ্যে সিবিআই দু’টি মামলার দায়িত্ব নিয়েছে। সাম্প্রতিক হলফনামায় সরকার জানায়, ‘ইউনিপে ২ ইউ’ ও ‘বাসিল ইন্টারন্যাশনাল’-এর বিরুদ্ধে দু’টি তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হলেও সারদা সংক্রান্ত মামলা এখনও সরকারিভাবে সিবিআইয়ের হাতে নেই।
সম্প্রতি সারদা মামলায় কলকাতার সিবিআই দফতরে ডাক পড়ে অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস বিধায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মার। স্ত্রীর মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলের হয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল সিবিআই দফতরে হাজির হন। প্রশ্ন ওঠে, রাজ্য সরকার যেখানে সারদা মামলায় বাদি পক্ষ এবং মামলা যেখানে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে কী করে সরকার পক্ষের উকিল অন্যতম অভিযুক্তের হয়ে সিবিআই দফতরে গেলেন? বিতর্কের জেরে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে দেবজিৎ শইকিয়াকে সরিয়েও দেওয়া হয়। তখনই তিনি দাবি করেন, রাজ্যে সারদার কোনও মামলাই এখনও সিবিআই তদন্তাধীন নয়। তিনি বাইরের রাজ্যের মামলায় অংশ নিতেই পারেন।
সিবিআই এখনও পর্যন্ত যে মামলাগুলির তদন্ত করছে তা মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় সীমাবদ্ধ। তবে তদন্তের জেরে তারা অনেক বিশিষ্টকে জেরা করেছে। সদানন্ত গগৈকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শঙ্কর বরুয়া আত্মহত্যা করেছেন। অঞ্জন-হিমন্ত, মনোরঞ্জনা-মাতঙ্গ সিংহ, বিজেপি সাংসদ আর পি শর্মাদের জেরা করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে কয়েকজন পুলিশকর্তার নামও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy