বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
সংশোধনাগারে নিয়মিত বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ রয়েছে পরিজন-পরিচিতদের। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হেফাজতে থাকা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও পরিচিতেরা এসে দেখা করছেন বলে জেল সূত্রের খবর। সেখানে সিবিআইয়ের ‘নজরে’ থাকা কেউ দেখা করছেন কি না, সে দিকে লক্ষ রাখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাদের নজরে থাকা অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক বিধায়কের গাড়ি দিন তিনেক জেলের কাছে দেখা গিয়েছে বলেও তদন্তকারীদের একাংশের দাবি।
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার সূত্রের খবর, গত বুধবার সন্ধ্যায় অনুব্রতকে সেখানে আনা হয়। শুক্রবার থেকে সাক্ষাৎ-প্রার্থীরা আসছেন। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আগে আবেদন জানাতে হয়। দেখা করার সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা। বন্দির সঙ্গে জনা দুয়েককে দেখা করতে দেওয়া হয়। সে সব নিয়ম মেনেই অনুব্রত ওরফে কেষ্টর সঙ্গে তাঁর পরিচিতেরা দেখা করছেন বলে জেল সূত্রের দাবি।
সিবিআই সূত্রের দাবি, অন্য বন্দিদের পরিজনের ভিড় কিছুটা ফাঁকা হওয়ার পরে, দুপুরের দিকে কেষ্টর সঙ্গে লোকজন দেখা করতে আসছেন। সেই সূত্রেরই খবর, শুক্রবার থেকে পরপর তিন দিন একটি বিলাসবহুল গাড়িতে কয়েক জনকে আসতে দেখা গিয়েছে। গাড়িটি বীরভূমের এক বিধায়কের বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। ওই বিধায়ক নিজেও অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, পাথর পাচারের সঙ্গে গরু পাচারের কিছু যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। এই জোড়া কারবারের সঙ্গে ওই বিধায়কের যোগাযোগের কিছু তথ্যও হাতে এসেছে। তাই অনুব্রতের সঙ্গে তিনি বা তাঁর অনুগামীরা ঘনঘন দেখা করছেন কি না, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, দিন কয়েকের মধ্যে অনুব্রতকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
ওই বিধায়কের যদিও দাবি, “সংশোধনাগারে দেখা করতে গেলে সেখানকার নথিতে তার উল্লেখ থাকবে। সিসিটিভি ফুটেজও থাকবে। আমার দেখা করতে যাওয়ার কথা পুরোপুরি মিথ্যা।” তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, “আইন মেনে তদন্ত নিশ্চয় চলবে। কিন্তু বিচারাধীন বন্দির সঙ্গে যে কেউ দেখা করতে যেতে পারেন, তাতে অনিয়মের কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy