সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস। —ফাইল চিত্র
সন্দেশখালি নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ শুনতে এ বার সেখানেই অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস তৈরি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে থেকেই এ বার তদন্ত করবেন তাদের আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার কাজ হবে ওই অস্থায়ী শিবিরে। এর পাশাপাশি সেখানে অভিযোগকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন তদন্তকারীরা।
অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতার সিবিআই দফতর থেকে কয়েক জন আধিকারিক সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও সন্দেশখালি যান। সিবিআইয়ের ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জমা নেওয়াও বন্ধ করছে না তারা। তবে গ্রামের মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন, তাই সেখানেই অস্থায়ী শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
সন্দেশখালিতে অধুনা সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে জমি দখল, হেনস্থা এবং নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্দেশখালির নারী নির্যাতন এবং জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অভিযোগ জানাতে অনলাইন পোর্টাল খুলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দেশখালির নিগৃহীতেরা কী ভাবে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন, তা সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
হাই কোর্টের নির্দেশের পরেই একাধিক বার সন্দেশখালিতে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েক জনের বাড়ি গিয়ে কথা বলা এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থাটি। এর পর সেখানে ডেকে পাঠানো হয় এনএসজিকে। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র নিয়ে তারা দিনভর সন্দেশখালিতে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায়। কয়েকটি বোমা নিষ্ক্রিয়ও করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy