প্রতীকী ছবি।
কয়লা পাচারের তদন্তে আয়কর দফতরের পাশাপাশি নামতে পারে সিবিআই। দিল্লির সিবিআই সদর দফতর থেকে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত এসেছে বলে সূত্রের দাবি। গত বৃহস্পতিবারের তল্লাশিতে নগদ, সোনাদানার পাশাপাশি প্রচুর নথিপত্র নিয়ে এসেছেন আয়কর কর্তারা। শুক্রবার থেকে ৩০টি দল তা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সেই নথির উপর ভিত্তি করে সিবিআই কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্তে নামবে বলে সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা দাবি করেন।
তল্লাশিতে যাওয়া এক আয়কর কর্তা জানান, যে দস্তাবেজ পাওয়া গিয়েছে তা বাছাই করে সুবিধাপ্রাপকদের তালিকা করতেই অন্তত দু’সপ্তাহ। কর্তার দাবি, ‘‘সংশ্লিষ্ট কয়লা ব্যবসায়ীকে নিতুরিয়া-ভামুরিয়া অঞ্চলে দু’টি থানা এলাকার জন্য মাসে সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিতে হত। লিখিত বিবৃতিতে ওই ব্যবসায়ী পুলিশের একাধিক আধিকারিকের নাম দিয়েছেন। শুধু কয়লা নয়, বালি এবং স্পঞ্জ আয়রন থেকেও টাকা যেত প্রভাবশালীদের কাছে।’’
আয়কর সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর এক্সেল শিটটিকেই এখন ‘তুরুপের তাস’ হিসেবে দেখাতে চাইছেন আয়কর কর্তারা। তাঁদের দাবি, কয়েকশো পাতার সেই শিটে পুলিশ, রাজনীতি, প্রশাসনের বেশ কয়েক জনের নাম রয়েছে। বিদেশি যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর দাবি এক্সেল শিটে রয়েছে, সেই টাকা বৈধ কি না, এখন তা দেখা হবে। যাঁদের নাম নথিতে রয়েছে, তাঁরা আদৌ টাকা পেয়েছিলেন কি না, তা যাচাই করতে তাঁদের সহযোগিতা চাইতে পারে আয়কর দফতর।
রাজ্যে এখন সিবিআই তদন্তের ‘জেনারেল কনসেন্ট’ নেই। তা হলে সিবিআই কয়লা তদন্তে নামবে কী করে? এক সিবিআই কর্তা জানান, কোল ইন্ডিয়া কেন্দ্রীয় সরকারের। সেখানকার অফিসারদের দুর্নীতি-তদন্ত সিবিআই করে। কোল ইন্ডিয়ায় কয়লা চুরির ঘটনার কয়েকটি পুরনো মামলার তদন্ত চলছেই। সেই সঙ্গে আয়কর দফতরের তল্লাশির বিষয়টি দেখা হবে। প্রয়োজনে রাজ্যের বাইরে মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত করা হতে পারে।
আরও পডুন: এনামুলের অন্তর্বর্তী জামিন, জেরায় হাজিরার নির্দেশ
আরও পডুন: ফের সংখ্যালঘু বিধায়ক তৃণমূলে
দেশের খনিজ সম্পদের পাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তদন্ত চাইছেন। এ রাজ্যের কয়লা পাচারে রাজনীতিকদের একাংশের ‘যোগসূত্রের’ যে ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি, তার প্রেক্ষিতে তদন্তে তৎপরতা দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy