Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
SSC recruitment scam

অভিষেকের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে কুন্তলকে, ইঙ্গিত সিবিআই সূত্রে

সিবিআই সূত্রের খবর, কুন্তলের বয়ান খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আদালতে আবেদন করে তাঁকে আবার হেফাজতে নিতে পারে তারা। তখনই অভিষেকের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে আবার জেরা করা হতে পারে।

Abhishek Banerjee and Kuntal Ghosh

অভিষেক এবং কুন্তলকে সামনা সামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা সিবিআইয়ের। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ০৭:০৬
Share: Save:

প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদের দিন তিনেক পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে ফের প্রশ্ন করার ইঙ্গিত দিল সিবিআই। ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, অভিষেককে জড়িয়ে কুন্তলের চিঠি এবং কুন্তলকে চেনেন না বলে অভিষেকের দাবির ব্যাপারে সত্য জানার চেষ্টা হবে সেই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তলকে জেরা করেছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রের খবর, কুন্তলের এ দিনের বয়ান খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আদালতে আবেদন করে তাঁকে আবার হেফাজতে নিতে পারে তারা। তখনই অভিষেকের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে আবার জেরা করা হতে পারে। একই ভাবে প্রশ্ন করা হতে পারে অভিষেককেও। কারণ, ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার উপরে হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট এখনও পর্যন্ত কোনও নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ দেয়নি।

তাঁকে চাপ দিয়ে ইডি ও সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেকের নাম বলিয়ে নিতে চাইছে বলে কুন্তল যে-অভিযোগ করেছেন, তার তদন্তে নেমে শনিবার অভিষেককে প্রায় সাড়ে ন’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, পরে তাঁকে আবার তলব করা হতে পারে বলে ওই নেতাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের পরে অভিষেক জানান, কুন্তলকে তিনি চেনেন না। সিবিআইয়ের দাবি, ওই দিন কুন্তল ও তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করা হয় অভিষেককে।

কুন্তলকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের কাছে আবেদন করেছিল সিবিআই। বিচারক তাদের আর্জি মঞ্জুর করেন। তার পরেই বুধবার দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেলে সুপারের অফিসের পিছনের একটি ঘরে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে কুন্তলকে জেরা করেন তদন্তকারীরা।

২৯ মার্চ কলকাতায় এক জনসভায় অভিষেক অভিযোগ করেছিলেন, বেআইনি লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক নয়ছয়ের মামলাতেও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে দিয়ে তাঁর নাম বলিয়ে নেওয়ার জন্য ওই দু’জনের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। ৩০ মার্চ আদালত-চত্বরে সংবাদমাধ্যমের কাছে কুন্তল দাবি করেন, ইডি তাঁকে চাপ দিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেকের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ৩১ মার্চ কুন্তল আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক এবং কলকাতা পুলিশের হেস্টিংস থানায় চিঠি দিয়ে একই অভিযোগ করেন।

সিবিআইয়ের দাবি, কুন্তল জেলে থাকাকালীন কোনও দিন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। কিন্তু অভিষেক প্রকাশ্য সভায় মন্তব্য করার পরেই কুন্তল ওই অভিযোগ করেন। সিবিআইয়ের দাবি, জেল হেফাজতে থাকাকালীন মদন বা কুণালও কোনও আদালত অথবা পুলিশের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। এমনকি ওই বিষয়ে আদালত ও পুলিশের কাছে কোনও দিন অভিযোগ করেননি অভিষেকও।

বুধবার কুন্তল ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা নাইসা-র আধিকারিক নীলাদ্রি দাসকেও জেরা করে সিবিআই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE