প্রতীকী ছবি।
সিবিআই-পুলিশ টানাপড়েনকে ঘিরে রবিবার রাতে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেই ভাঙচুর এবং অবরোধ থেকে দলীয় সমর্থকদের বিরত থাকতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও সোমবার সারা দিন হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে দফায় দফায় রেল অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। জাতীয় সড়ক অবরোধ হয় আসানসোল, বরাকর, বাঁকুড়ায়।
এ দিন হাওড়া ডিভিশনের কোন্নগর, তারকেশ্বর, চাঁদপুর স্টেশনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গড়ে আধ ঘণ্টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার ভ্যাবলা স্টেশনে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে অবরোধ চলে প্রায় ২০ মিনিট। শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখার চাকদহ, পলতা স্টেশনেও অবরোধ হয়। বেলা ৩টে থেকে প্রায় ২৫ মিনিট রেললাইন অবরোধ করে রাখা হয় চাকদহে। বিকেল ৫টায় মিনিট দশেক রেল অবরোধ হয় পলতায়। শিয়ালদহ দক্ষিণে অবরোধ হয় সোনারপুর, সংগ্রামপুর-সহ বিভিন্ন স্টেশনে। সোনারপুর স্টেশনে বেলা ৩টে ৪৫ মিনিট থেকে ৪টে পর্য়ন্ত অবরোধ চলে। অবরোধের ফলে বিভিন্ন শাখায় ১০ জোড়া ট্রেন দেরিতে চলে।
আসানসোল ও দুর্গাপুরে বিক্ষোভ শুরু হয় রবিবার রাত থেকেই। সোমবার দুপুরের দিকে ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডিহি চেকপোস্টের কাছে তৃণমূলের পতাকা হাতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ অবরোধ চালান শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা। রাস্তার ওই অংশে তীব্র যানজট হয়। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটিতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। বর্ধমান শহরেও রাস্তা আটকে মিছিল করেন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy