Advertisement
E-Paper

‘কাকু’র পর এ বার কুন্তল ঘোষের কণ্ঠের নমুনা চায় সিবিআই, নিয়োগ মামলায় মিলেছে নতুন তথ্য! দাবি

এর আগে প্রাথমিকের মামলায় ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। পরে ওই মামলায় সিবিআইও ‘কাকু’র কণ্ঠের নমুনা নেয়। এ বার তাদের প্রয়োজন কুন্তলের কণ্ঠস্বরের নমুনা।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৫
Share
Save

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এ বার কুন্তল ঘোষের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চায় সিবিআই। শুক্রবার বিচারভবনে এই সংক্রান্ত আবেদন জানিয়েছে তারা। অনুমতিও মিলেছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কুন্তলের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের করা মামলার শুনানি ছিল বিচারভবনে। এই মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীলরা অন্যতম অভিযুক্ত। কুন্তল অবশ্য আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সিবিআই আদালতে জানায়, প্রাথমিকের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কিছু নতুন তথ্য তাদের হাতে এসেছে। সেগুলি যাচাইয়ের জন্য কুন্তলের কণ্ঠের নমুনা প্রয়োজন। অনুমতি দেন বিচারক।

এর আগে প্রাথমিকের মামলায় ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। পরে ওই মামলায় সিবিআইও ‘কাকু’র কণ্ঠের নমুনা নেয়। এ বার তাদের প্রয়োজন কুন্তলের কণ্ঠস্বরের নমুনা।

নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের মামলায় ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে টাকা তোলার অভিযোগের পাশাপাশি, হিসাব-বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও ছিল কুন্তলের বিরুদ্ধে। এর পর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় কুন্তলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রায় ২৩ মাস ধরে জেলে থাকার পর কুন্তল সিবিআইয়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান গত নভেম্বরে। তার পর তিনি জেল থেকে বেরিয়েছেন।

আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, কুন্তল চাকরি দেওয়ার নামে প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় চার কোটি টাকা তুলেছেন। ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল সরকারি অফিসে। অন্য দিকে, ইডির দাবি ৩২৫ জন শিক্ষক-পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। তাঁর কাছে সব মিলিয়ে ১৯ কোটি টাকারও বেশি পৌঁছেছিল বলেও আদালতকে জানায় ইডি। সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি, টেটে ফেল করা প্রার্থীদের যোগ্য প্রমাণ করতে ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন কুন্তলেরা। অবিকল আসল ওয়েবসাইটের মতো দেখতে ছিল সেই ভুয়ো ওয়েবসাইট। এমনকি, দুর্নীতি যাতে নজর এড়িয়ে যায়, সে জন্য ভুয়ো ইমেল আইডি থেকে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের মেল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত। কোনও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’কে দেওয়া হয়েছিল। এ বার সেই তদন্তের স্বার্থে কুন্তলের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Primary Recruitment Case Kuntal Ghosh CBI

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}