শিশু চুরির ঘটনায় সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে হুঁশ ফিরল রাজ্য সরকারের। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জরুরি বৈঠক ডেকে তড়িঘড়ি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছেন। হাসপাতালের নিরাপত্তা কী ভাবে বাড়ানো যায়, তার রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। কমিটিতে থাকছেন স্বাস্থ্যসচিব রাজেন্দ্র শুক্ল, ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষায় সিসিটিভির ওপরেই বেশি জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
প্রথমে হাসপাতাল এবং তার পরে মেট্রো স্টেশনের সিসিটিভি-র ফুটেজ থেকেই মঙ্গলবার শিশু চুরির রহস্যের কিনারা হয়েছিল। সিসিটিভি না থাকলে এত দ্রুত যে শিশুটিকে উদ্ধার করা যেত না, তা স্বীকার করেছেন পুলিশকর্তারাও। বৈঠকের পরে ডিজি জানান, সব মেডিক্যাল কলেজে তো বটেই, ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও সিসিটিভি বসানো হবে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, সিসিটিভি যাতে ঠিক মতো কাজ করে, তাই রক্ষণাবেক্ষণের দিকটিও খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের নিরাপত্তা ও হাসপাতালকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে। মঙ্গলবার শিশু চুরিকে ঘিরে উত্তেজনা, তার পরে ভাঙচুর ও চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে অবরোধে প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘অভিযোগ থাকলে পুলিশকে বলুন। আইন নিজের হাতে নেবেন না।’’ লালবাজারের খবর, ঘটনার পরে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভাঙচুর এবং চিন্ময়ীদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ দিনের বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব, ডিজি ও কমিশনার ছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী।