বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব মেনে ‘যোগ-কুঠি’র জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
ক’দিন আগেই ‘ভাইরাল’ হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শরীরচর্চার ভিডিও। এ বার ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’–এর (২১ জুন) আগে বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব মেনে ‘যোগ-কুঠি’র জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ‘‘ধাপে ধাপে যোগ-গ্রাম তৈরি করব। কেন্দ্রের অনুমোদিত এগারো কোটি টাকার মধ্যে প্রথম ধাপের টাকা এসেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, আপাতত ‘যোগ-কুঠি’ তৈরি হবে। বিনয়ভবনের আমবাগানে কাচের জানলা দেওয়া ‘আসন-কুঠি’, ‘প্রাণায়াম-কুঠি’ গড়া হবে। থাকবে বিষয়ভিত্তিক প্রাচীন বই। কুঠির সামনে ‘ভেষজ উদ্যান’ হবে। পরে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ হাসপাতালকে যুক্ত করে ‘যোগ-গ্রাম’ হবে। হাসপাতালে শুধু আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি এবং যোগের মাধ্যমে চিকিৎসা হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আশা, পড়ুয়া থেকে পর্যটকদের তা আকৃষ্ট করবে।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ধ্যান, উপাসনায় জোর দিয়েছিলেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়ে যোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। নানা আসন শেখানো হত। পরে ১৯৫৫ সালে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের উদ্যোগে ফের জোর দেওয়া হয় যোগাভ্যাসে। ১৯৯৮ সালে শারীরশিক্ষা বিভাগ চালু হলে যোগ-শিক্ষা গুরুত্ব পায় বিশ্বভারতীতে।
২০১৩ সালে সবুজকলি সেন ‘উদ্ভাবনী শিক্ষা ও গ্রামীণ পুনর্গঠন দফতর’-এর ডিরেক্টর হন। মূলত তাঁর চেষ্টায় ২০১৭ সালে চালু হয় ‘যোগিক আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স বিভাগ’। শারীরশিক্ষা বিভাগের প্রধান সমীরণ মণ্ডলের দাবি, ‘‘এ বার আমরা আরও একটা ধাপ এগোলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy