Advertisement
০২ মে ২০২৪

মোর্চা নিয়ে মুখে কুলুপ নয়াদিল্লির

কেন্দ্রের মনোভাব কী, তার কোনও ইঙ্গিত এ দিন মেলেনি। রোশন অবশ্য বলেছেন, ‘‘রাজনাথ প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৮
Share: Save:

মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ যাতে ফের প্রকাশ্যে আসতে পারেন, সেই রাস্তা তৈরি করতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করলেন মোর্চা নেতারা। গুরঙ্গ-সহ অন্য মোর্চা নেতাদের মাথার উপরে থাকা লুক আউট নোটিস ও গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারে হস্তক্ষেপ করতে রাজনাথকে অনুরোধ করেন তাঁরা। এ ব্যাপারে রাজনাথ যাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন, সেই অনুরোধও করেছেন রোশন গিরিরা।

অনেকের মতে, তাঁর পায়ের তলা থেকে মাটি যে দ্রুত সরে যাচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন গুরুঙ্গ। এ-ও বুঝতে পারছেন যে, আর বেশি দিন লুকিয়ে থাকলে আন্দোলনের রাশ পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে যাবে। তা ছাড়া, যে কোনওদিন ধরাও পড়ে যেতে পারেন। সেই কারণেই রোশনদের দিয়ে দিল্লির কাছে এমন দরবার করালেন তিনি।

কিন্তু কেন্দ্রের মনোভাব কী, তার কোনও ইঙ্গিত এ দিন মেলেনি। রোশন অবশ্য বলেছেন, ‘‘রাজনাথ প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন: বাংলা, ইংরেজি, হিন্দিতে ‘বাংলা’ই চাইছে রাজ্য

শনিবার কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন রাজনাথ। তাই আজ সন্ধ্যাতেই তড়িঘড়ি বৈঠকের ব্যবস্থা করে দেন দার্জিলিঙের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। দশ মিনিটের বৈঠকে ছিলেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা স্বরাজ থাপা, কালিম্পং ও কার্শিয়াঙের দুই বিধায়ক সরিতা রাই ও রোহিত শর্মা ও সাংসদ নিজে।

তবে রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক হলেও দিল্লির মনোভাবে অনেক গোর্খা নেতাই ক্ষুব্ধ। তাঁদেরই এক জন উত্তম ছেত্রীর অভিযোগ, ‘‘কাশ্মীরে রবার বুলেট চলে না। সেখানে দার্জিলিঙ-এ বুলেট চালিয়ে গোর্খাদের হত্যা করা হচ্ছে। মোদী ভোটের আগে বলেছিলেন গোর্খাদের স্বপ্ন, আমার স্বপ্ন। আর এখন রাজনাথ বলছেন, তাঁর হাতে কিছু নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE