মুল্লানপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হারের নেপথ্যে ছিল অতিরিক্ত রান। ২২টি অতিরিক্ত রান দিয়েছিল ভারত। অর্শদীপ সিংহ একাই একটি ওভারে করেছিলেন সাতটি ওয়াইড। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ধর্মশালায় ভাল ভাবেই প্রত্যাবর্তন হল ভারতের। সাফল্যের নেপথ্যে অর্শদীপ এবং বরুণ চক্রবর্তী কৃতিত্ব দিলেন কোচ গৌতম গম্ভীরকেই।
আগের ম্যাচে খলনায়ক হয়েছিলেন। এই ম্যাচে সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন অর্শদীপ। চার ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। একটিও অতিরিক্ত রান দেননি। সেই অর্শদীপ বলেছেন, “আমি মাঠে ঢোকার সময় অনেকেই বলেছিল এটাও তোমার ঘরের মাঠ। সেটা একেবারেই নয়। আগের ম্যাচটা ছিল একটা খারাপ দিন। তাই এই ম্যাচে ভাল করতে চেয়েছিলাম।”
অর্শদীপের সংযোজন, “আলাদা কিছু করিনি। শুধু ঠিকঠাক জায়গায় বলটা রাখতে চেয়েছিলাম। পিচ থেকেও সাহায্য পেয়েছি।” যে বলে রিজ়া হেনড্রিক্সকে আউট করেন অর্শদীপ, সেই সময় ডিআরএস-এর জন্য দীর্ঘ আলোচনা করতে দেখা গিয়েছিল। কী ছিল সেই আলোচনার বিষয়? অর্শদীপের ব্যাখ্যা, “আসলে সূর্য ভাই উত্তেজনা বজায় রাখতে চাইছিল। প্যাডে লাগার পরেই বুঝেছিলাম ওটা আউট। জিতেশও তাই বলল। আসলে বোলার হিসাবে আমরা সবই রিভিউ নিতে চাই। সামনের এবং পিছনের প্যাডে লেগে দু’বার আওয়াজ হওয়ায় একটু ধন্দ তৈরি হয়েছিল। তবে দিনের শেষে সফল হয়েছি।”
অর্শদীপের মতো ভাল বল করেছেন বরুণ। তিনি চার ওভারে ১১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচের পর কথা বলতে এসে বরুণ জানান, আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়েই এই ম্যাচে সফল হয়েছেন তাঁরা। বরুণের কথায়, “বোলারদের নিয়ে ভাল একটা বৈঠক করেছিলাম আমরা। একে অপরের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেছি। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম কোথায় ভুল হয়েছে। তাই এই ম্যাচে সব ঠিকঠাক করতে চেয়েছিলাম। দল পরিচালন সমিতি এবং বোলারদের যাবতীয় কৃতিত্ব প্রাপ্য।”
সাফল্যের নেপথ্যে নিজের বলের বৈচিত্রের কথা তুলে ধরেছেন বরুণ। তাঁর কথায়, “আজ বল ঘোরার থেকে বেশি পিছলে যাচ্ছিল। তাই সে দিকেই নজর দিতে চেয়েছিলাম। খুব বেশি ঘোরানোর চেষ্টা করিনি।” এ দিন টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসাবে ৫০টি উইকেট হল বরুণের। সে সম্পর্কে বললেন, “আমি এটা জানতামই না। ভাল লাগছে। দেশের হয়ে যত দিন খেলব তত দিন অবদান রাখতে চাই।”
আরও পড়ুন:
-
সোমবার রাজধানীতে মেসির সঙ্গে দেখা করতে পারেন কোহলি, স্ত্রী অনুষ্কাকে নিয়ে আচমকা দেশে ফেরায় বাড়ল জল্পনা
-
ব্যাটে ব্যর্থ হলেও প্রথম উইকেট নিলেন বৈভব, ছোটদের এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়ে দিল ভারত
-
কোচের ধমকে কাজ হল! ঘুরে দাঁড়ালেন বোলারেরা, ঘুরে দাঁড়াল ভারতও, তৃতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজ়ে এগিয়ে গেলেন সূর্যেরা
চেন্নাইয়ের ছেলে বরুণকে ধর্মশালার ঠান্ডায় বেশ কাঁপতে দেখা যাচ্ছিল। তা নিয়ে রবিন উথাপ্পা থেকে সঞ্জয় বাঙ্গার, সকলেই তাঁর পেছনে লাগেন। বরুণ বলেন, “চেন্নাইয়ে এই ঠান্ডা কল্পনাই করা যায় না। গত কাল ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসিনি। লেপ-কম্বলের তলায় ব্যস্ত ছিলাম। আজও বল হাতে ধরতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই হ্যান্ড ওয়ার্মার ব্যবহার করেছি।”
বরুণ জানিয়েছেন, নিজের ব্যাটিংয়ের উন্নতি করতে চান। তাঁর কথায়, “এ বার একটু ব্যাটিংয়ে মন দিতে হবে। চেষ্টা করছি পিঞ্চ হিটিং করে বল বাউন্ডারিতে পাঠানো যায় কি না।”