ফাইল চিত্র
বন্যা সামলাতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ‘আশা’ নতুন নয়। এ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের টানাপড়েনও দীর্ঘদিনের। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি অংশীদারি নিয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্য তাতে সম্মত হয়েছে। তাই নতুন করে প্রকল্পের রূপরেখা পাঠানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র তা অনুমোদন করলে কাজ শুরু হবে। প্রস্তাবিত মাস্টার প্ল্যান অনুমোদিত হলে প্রকল্পের খরচ হতে পারে কমবেশি ১৩০০ কোটি টাকা। তার অংশীদারি থাকবে কেন্দ্র-রাজ্যের। যদিও কেন্দ্রকে পাঠানো প্রস্তাবে রাজ্য জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে।
প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, ঘাটালের ভৌগোলিক অবস্থান কার্যত কড়াইয়ের মতো। ফলে জল এক বার ঢুকলে বার করতে বেগ পেতে হয়। মানুষের ভোগান্তিও হয় সেই কারণে। প্রভাব পড়ে আশেপাশে অনেক এলাকাতেও। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের উদ্দেশ্য, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
প্রশাসনের খবর, কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রকল্পের ৬০ শতাংশ খরচ দিল্লি দেবে। বাকি ৪০ শতাংশ খরচ দিতে হবে রাজ্যকে। এই প্রস্তাব পাওয়ার পরে অর্থ দফতরের আলোচনার পরে প্রস্তাবে রাজি হয় সেচ দফতর। প্রশাসনের কর্তাদের মতে, প্রতি বছর বন্যায় নাজেহাল হতে হয় ঘাটালের মানুষকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন। নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রকে দরবার করেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “প্রকল্পটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে খুব আন্তরিক এবং উদ্যোগী। ফলে সরকার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্রের সঙ্গে। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক প্রস্তাবে রাজ্য যে রাজি, তা জানানো হয়েছে। নতুন করে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান জমাও দেওয়া হয়েছে। এখন দেখা যাক কী হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy