ছবি: সংগৃহীত
যানবাহন নয়। রাস্তার ধুলোই দূষণের মূল উৎস। অনেক জায়গাতেই রাস্তা ভাঙাচোরা। তার উপরে ওভারটেক করতে যে ভাবে গাড়ি যাতায়াত করে, তাতেও ধুলোর দূষণ ক্রমে বাড়ছে শহরে।
বছর দেড়েক আগে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর (নিরি) অন্তর্বর্তী রিপোর্টে প্রসঙ্গটি উঠে আসার পরে তা নিয়ে পরিবেশকর্মীদের একটি অংশের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। ফের সেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, নিরি তাদের চূড়ান্ত রিপোর্টেও রাস্তার ধুলোকেই দূষণের মূল কারণ বলেছে বলে রাজ্য সরকার সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতকে জানিয়েছে।
কলকাতা ও হাওড়ার বায়ুদূষণের উৎস খুঁজতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশেই নিরিকে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। নিরি আগে একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টও জমা দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল শহরের সার্বিক বায়ুদূষণে পথের ধুলো ও নির্মাণস্থলের (তৈরি ও ভাঙা) দূষণই মূল দায়ী।
দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীনে ‘ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম’ চালু হয়েছে। সেখানে রাস্তার ধুলো ও নির্মাণস্থলের দূষণের উপরে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা-সহ দেশের ‘নন অ্যাটেনমেন্ট’ (যে শহরের বাতাসের মান ধারাবাহিক ভাবে খারাপ) শহরগুলির পথের ধুলো কমাতে ডিভাইডারে সবুজায়ন, ভাঙাচোরা রাস্তার দ্রুত সারাই, দিনে দু’বার রাস্তায় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা-সহ একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানাচ্ছে, এ নিয়ে পুরসভার সঙ্গে একাধিক বার কথা হয়েছে। ভাঙা রাস্তা যে ধুলো-দূষণের অন্যতম কারণ, সে সম্পর্কেও সচেতন করা হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষকে।
কী করছেন কর্তৃপক্ষ? কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ধুলো কমানোর জন্য স্প্রিঙ্কলার গাড়ি দিয়ে জল দেওয়া হয়। লকডাউন পর্বে যানবাহন কম থাকায় সেই কাজের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ছে। তবে শনিবারই পুর কর্তৃপক্ষ জীবাণুনাশ ও ধুলোর দূষণ কমাতে মিস্ট ক্যানন মেশিন নামে একটি যন্ত্রের উদ্বোধন করেন। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রতন দে বলেন, ‘‘বর্ষায় ভাঙা রাস্তা সারাতে শুধু প্যাচ-ওয়ার্ক-ই হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy