Advertisement
E-Paper

তালিকায় ‘অস্তিত্বহীন’ ভোটার! কমিশন চিঠি দিল জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের, দুই ইআরওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপও ‘বিবেচনায়’

পশ্চিমবঙ্গের সিইও সোমবারই এই চিঠি পাঠিয়েছেন ডিইওদের। শুরুতেই লেখা হয়েছে যে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার যে সব আবেদন নিরন্তর জমা পড়েছে, সে সবের নিষ্পত্তির সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই ১৯৬০ সালের ভোটদাতা নিবন্ধন আইন মানা হয়নি। ৬ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের নামের অন্তর্ভুক্তি হয়। সম্প্রতি যত সংখ্যক ৬ নম্বর ফর্ম জমা পড়েছে, তার ১ শতাংশের কম সংখ্যক ফর্মের ‘নমুনা পরীক্ষা’ করেই অনেক ‘অনিয়ম’ দেখা গিয়েছে বলে সিইও লিখেছেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫ ২২:৪৩
ভোটার তালিকায় ‘অনিয়ম’ নিয়ে জেলায় জেলায় চিঠি পাঠাল নির্বাচন কমিশন।

ভোটার তালিকায় ‘অনিয়ম’ নিয়ে জেলায় জেলায় চিঠি পাঠাল নির্বাচন কমিশন। —প্রতীকী চিত্র।

ভোটার তালিকায় নতুন নামের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ‘অনিয়ম’ হয়েছে বলে জানিয়ে সব ‘জেলা নির্বাচন আধিকারিক’ (ডিইও)-কে চিঠি দিলেন রাজ্যের ‘মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক’ (সিইও) মনোজকুমার আগরওয়াল। যে ‘অনিয়ম’ সামনে এসেছে, তার প্রেক্ষিতে অন্তত দু’জন ‘নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (ইআরও)-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথাও বিবেচিত হচ্ছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি। গত এক বছরে যে সব নতুন নাম ভোটার তালিকায় উঠেছে, সে সবের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার জন্য বরিষ্ঠ আধিকারিকদের ‘দল’ গঠন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ডিইওদের।

পশ্চিমবঙ্গের সিইও সোমবারই এই চিঠি পাঠিয়েছেন ডিইওদের। শুরুতেই লেখা হয়েছে যে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার যে সব আবেদন নিরন্তর জমা পড়েছে, সে সবের নিষ্পত্তির সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই ১৯৬০ সালের ভোটদাতা নিবন্ধন আইন মানা হয়নি। ৬ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের নামের অন্তর্ভুক্তি হয়। সম্প্রতি যত সংখ্যক ৬ নম্বর ফর্ম জমা পড়েছে, তার ১ শতাংশের কম সংখ্যক ফর্মের ‘নমুনা পরীক্ষা’ করেই অনেক ‘অনিয়ম’ দেখা গিয়েছে বলে সিইও লিখেছেন। দু’জন ইআরও ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ ফর্ম গ্রহণ করেছেন, যা ‘অস্তিত্বহীন ভোটারদের’ জন্য জমা পড়েছে বলে সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে। সিইও আরও লিখেছেন যে, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, কোনও জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই ‘বুথ স্তরীয় আধিকারিক’ (বিএলও)-দের দ্বারা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া এড়িয়ে গিয়ে এই কাজ করা হয়েছে।

যে দু’জন ইআরও এই কাজ করেছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে কমিশনের তরফে। দু’জনই কমিশনকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের ‘ইআরও নেট’ ব্যবস্থায় প্রবেশের অনুমতি ‘অতিরিক্ত নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (এইআরও)-দের দেওয়া হয়েছে। বিডিও অফিসগুলিতে কর্মরত ‘ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন আধিকারিক’ (ওসি-ইলেকশন) এবং ঠিকা ডেটা এন্ট্রি অপারেটররাও ইআরও নেটে প্রবেশ করতে পারেন। তাঁরাই এই সব আবেদনের নিষ্পত্তি ঘটিয়েছেন বলে ওই দুই ইআরও কমিশনকে জানিয়েছেন। সিইওর লেখা চিঠিতে তেমনই জানানো হয়েছে জেলাগুলির নির্বাচন আধিকারিকদের।

এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ডিইওদের উদ্দেশে সিইওর নির্দেশ, ‘‘গত এক বছরে যত সংখ্যক ৬ নম্বর ফর্মের নিষ্পত্তি ঘটানো হয়েছে, সে সবের নমুনা পরীক্ষার জন্য বরিষ্ঠ আধিকারিকদের নিয়ে দল গঠন করুন এবং ১৪ অগস্ট, ২০২৫ তারিখের মধ্যে অবশ্যই রিপোর্ট জমা দিন।’’ যে দু’জন ইআরওর অধীনে ‘অনিয়ম’ ধরা পড়েছে, তাঁদের বিষয়ে ‘উপযুক্ত পদক্ষেপ’ বিবেচিত হচ্ছে বলে সিইও লিখেছেন। বিডিও অফিসগুলিতে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন আধিকারিকরা বা ঠিকা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরেরা ‘ইআরও নেট’ ব্যবস্থা ব্যবহার করে ফর্ম ৬, ৭, ৮-এর নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যাতে কোনও ভূমিকা পালন করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।

West Bengal Politics West Bengal Assembly Election 2026 CEO Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy