ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় ২০০২-এর ভোটার তালিকাকে নির্বাচন কমিশন ‘ভিত্তি’ করেছে। কিন্তু কোচবিহার, উত্তর ২৪ পরগনা এবং জলপাইগুড়ির নির্দিষ্ট ‘দৃষ্টান্ত’কে সামনে রেখে ২০০২-এর মূল তালিকা (‘হার্ড কপি’) এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তালিকার বিস্তর ফারাক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে উত্তর ২৪ পরগনা ও কোচবিহারের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্ট তলব করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ১৯৬০-এর নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী জেলার ভোটার তালিকা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদেরই।
এসআইআর-প্রক্রিয়ার জন্য নিযুক্ত বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) নিয়ে অভিযোগও অব্যাহত। দমদম বিধানসভা এলাকায় বিএলও হিসাবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাল বিজেপি। বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচনী আধিকারিকের (ইআরও) কাছে বিএলও হিসাবে ওই কর্মীদের বাদ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা গৌতম সাহা মণ্ডল। এর আগে দক্ষিণ দমদম পুরসভার একটি ওয়ার্ডে বিএলও হিসাবে তৃণমূলের যুব সভাপতির নাম রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু সেনশর্মার বক্তব্য, “সর্বদল বৈঠকে বিজেপি নির্দিষ্ট করে এমন অভিযোগ জানাতে পারেনি। কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)