ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের উত্তাপে তপ্ত হতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতি। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে জানুয়ারির গোড়ায় মাস্টার ট্রেনার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর। অব্যবহিত পরে পুলিশ কর্তাদের ভোট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা।
ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ ভোটের আয়োজনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আর করোনা আবহে ভোট আয়োজনের মানচিত্রে নানা নিয়মকানুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফলে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণে অনেকটাই পরিবর্তন আসবে। ফলে ওই প্রশিক্ষণে বাড়তি সময় লাগার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
মাস্টার ট্রেনার হিসাবে থাকবেন মহকুমাশাসক এবং তাঁর উচ্চ স্তরের আধিকারিকেরা। তাঁরা সিইও দফতরের আয়োজিত প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে জেলার কর্মী আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। জেলায় প্রশিক্ষণ নেবেন রির্টানিং অফিসার (আরও) এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার-সহ অন্যরা।
কী ধরনের প্রশিক্ষণ?
প্রশিক্ষণের তালিকায় রয়েছে ভোট আয়োজনের নিয়মকানুন, ইভিএম, প্রার্থীদের ভোটখরচ, অভিযোগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য।
আগামী ২, ৪ এবং ৫ জানুয়ারি ভাষা ভবনে মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক বা তাঁর উচ্চ স্তরের আধিকারিকেরা থাকবেন। বিভিন্ন ধাপে ভোট আয়োজনের নানা খুঁটিনাটির প্রশিক্ষণ নেবেন তাঁরা।
ভোট আয়োজনে প্রশাসনের পাশাপাশি ভূমিকা থাকে পুলিশের। তাঁদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সিইও দফতর। সেখানে জেলা পুলিশ ও কমিশনারেটের উচ্চ স্তরের কর্তারা হাজির থাকবেন বলে খবর। পুলিশের প্রশিক্ষণও জানুয়ারির শুরুর দিকে হওয়ার কথা।
পুলিশের জন্য কেমন প্রশিক্ষণ হয়? আইনশৃঙ্খলা, বুথ নিরাপত্তা, ভোট পর্বে বাজেয়াপ্ত করা নানা সামগ্রী সংক্রান্ত খুঁটিনাটি নিয়ে প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। রাজ্যস্তরের পরে তা জেলাস্তরে হয়।
সাধারণত, এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এপ্রিল-মে মাসে হয়ে থাকে। ফলে এই ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য হাতে আর বেশি সময় নেই বলে মনে করছেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকেরা। সে কারণে এই ধরনের প্রশিক্ষণ পর্ব দ্রুত শেষ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy