রবিবার নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত ৩ লাখ ১৯ হাজার। এই পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সতর্ক স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। পরীক্ষার্থীদের কী কী নিয়ম মানতে হবে, শনিবার তা কড়া ভাবে জানিয়ে দিলেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, মোট ৬৩৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ১২টা থেকে। তার আগে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র বিতরণ শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৫ থেকে। তখন শুধু নিজের নামটুকুই লিখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। উত্তর লেখা শুরু করা যাবে দুপুর ১২টা থেকে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের শেষ সময় সকাল ১১টা ৪৫। আর যে ঘরে পরীক্ষা হবে, সেখানে প্রবেশের শেষ সময় বেলা ১২টা।
চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি হবে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে। পরীক্ষাহলে কেউ ফোন নিয়ে যেতে পারবেন না। স্মার্ট ঘড়ি বা ক্যালকুলেটরও নিয়ে যাওয়া যাবে না। জলের বোতল আনলে তা স্বচ্ছ হতে হবে। হতে হবে স্বচ্ছ কলমও। তবে এসএসসি-ও পরীক্ষার্থীদের জন্য কলমের ব্যবস্থা করবে। অ্যাডমিট কার্ড বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি ফোল্ডারে নিয়ে গেলে, তা-ও স্বচ্ছ হতে হবে।
সিদ্ধার্থ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রশ্নপত্রও সুরক্ষিত। যদি কেউ বেআইনি ভাবে কিছু করার চেষ্টা করেন, আধঘণ্টার মধ্যে তিনি ধরা পড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, ‘‘৩ লক্ষ ১৯ হাজার পরীক্ষার্থী কাল পরীক্ষা দেবে। প্রতিটি প্রশ্নপত্রের জন্য থাকছে আলাদা আলাদা সিকিউরিটি ফিচার। অ্যাডমিট কার্ড স্ক্যান করারও ব্যবস্থা থাকবে। সব পরীক্ষাকেন্দ্রই স্পর্শকাতর আমাদের কাছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বেরোতে পারবেন না।’’
চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের প্রায় সকলেই আবার আবেদন করেছেন। গত বারের চেয়ে এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্তত আড়াই লক্ষ বেশি।