ফাইল চিত্র।
ফের জন্ম নিল একটি নতুন নিম্নচাপ। তার হাত ধরে আজ, শনিবার থেকে আগামী কাল, রবিবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় বঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোনও কোনও জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। আবহবিজ্ঞানীদের অনুমান, নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে তার মূল সুফল ওড়িশাই পাবে। এ রাজ্যের দুই মেদিনীপুর ও সুন্দরবন এলাকায় কিছু প্রভাব পড়তে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের দু’-এক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছর গাঙ্গেয় বঙ্গের বর্ষা-ভাগ্য বেশ মন্দ। মৌসম ভবনের হিসেবে, ১ জুন থেকে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সার্বিক ভাবে ৯ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। তবে এ বার জুলাই মাস থেকেই সে ভাবে নিম্নচাপের দেখা মেলেনি। অগস্টের মাঝে হাজির হওয়া এই নতুন নিম্নচাপ শক্তি বাড়ালেও কতটা ঘাটতি মেটাবে সেই প্রশ্ন উঠেছে।
আমজনতার প্রশ্ন অবশ্য ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে রেহাই পাওয়া নিয়ে। সে ভাবে জোরালো বৃষ্টি হচ্ছে না। কিন্ত মেঘলা আকাশের সঙ্গে বাতাসে বাড়তি জলীয় বাষ্প রয়েছে। তার ফলেই ভ্যাপসা গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে। করোনা আবহে এ বছর অবশ্য পথেঘাটে তেমন ভিড় নেই, লোকজন বাড়ি থেকে তুলনামূলক কম বেরোচ্ছেন। তা বলে বাড়িতেও যে স্বস্তি মিলছে না। আবহবিদদের কেউ কেউ বলছেন, অগস্টে একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বটে। কিন্তু তা বঙ্গে না-এসে ওড়িশা-ছত্তীসগঢ়ের দিকে চলে গিয়েছে। আবহবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরের গতিবেগ এবং অভিমুখের মতো বেশ কিছু প্রাকৃতিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে নিম্নচাপ তার গতিপথ ঠিক করে। সে কারণেই এ বার নিম্নচাপ তৈরি হলেও তা ওড়িশার দিকে চলে যাচ্ছে।
ভ্যাপসা গরম কমবে এমন জোরালো আশ্বাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাসও দিতে পারছেন না। তিনি বলছেন, ‘‘শনি ও রবিবার তাপমাত্রা কিছু কমবে। তাতে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। তবে টানা বৃষ্টি না-হওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্প থেকে যাচ্ছে। তাই আর্দ্রতার দাপট রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy