Advertisement
E-Paper

মন্ত্রী চন্দ্রনাথের অফিসের দখল নিল কেষ্টবাহিনী! তৃণমূলের গোষ্ঠী লড়াইয়ে শান্তিনিকেতনে ঘোর অশান্তি

শ্রীনিকেতন বাজারের রূপপুর এলাকায় তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের সেই পার্টি অফিস দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠল অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৭
পার্টি অফিস দখল নিয়ে চন্দ্রনাথ সিংহ এবং অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদে উত্তপ্ত শান্তিনিকেতন।

পার্টি অফিস দখল নিয়ে চন্দ্রনাথ সিংহ এবং অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদে উত্তপ্ত শান্তিনিকেতন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

সম্প্রতি দলের কোর কমিটির বৈঠকের পর থেকেই অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডলের ‘একাধিপত্যে রাশ’ টানা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বীরভূমের রাজনীতিতে। সেই আবহেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা কোর কমিটির সদস্য চন্দ্রনাথ সিংহের পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ উঠল কেষ্টবাহিনীর বিরুদ্ধে, যা নিয়ে বৃহস্পতিবার অশান্ত শান্তিনিকেতন।

গত শনিবারের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে অনুব্রতকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রীর নির্দেশেই তা হয়েছে। ঠিক তার পরেই কমিটির দুই সদস্যের মধ্যে ‘বিবাদ’ ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে জেলা তৃণমূলে। এ বিষয়ে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি এখনও জানি না। সব কিছু জেনে দলীয় ভাবে পর্যালোচনা করব।’’

বোলপুরের শ্রীনিকেতন বাজারের রূপপুর এলাকায় তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেটি মন্ত্রী চন্দ্রনাথের পার্টি অফিস বলেই পরিচিত এলাকায়। চন্দ্রনাথের ‘ঘনিষ্ঠ’ তথা রূপপুরে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক বাবু দাস পার্টি অফিসটি চালাতেন। বৃহস্পতিবার সেই পার্টি অফিসটিই দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠল অনুব্রতের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পার্টি অফিস দখল নেওয়ার পর সেখানে কেষ্টর ছবি দেওয়া ব্যানার এবং দলীয় পতাকাও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উত্তাল পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনীও আসে। মোতায়েন করা হয়েছে মহিলা পুলিশও।

স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিক বলেন, ‘‘১৫ বছর ধরে এটা তৃণমূলের পার্টি অফিস। বাবু দাস কয়েক দিন ধরে এই পার্টি অফিস বন্ধ করে রেখেছিল। আমরা তাই এই পার্টি অফিস দখল নিলাম, অনুব্রত মণ্ডলের ছবি লাগিয়ে দিলাম।’’

বোলপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঙ্গীতা দাসের স্বামী সেই বাবুর দাবি, মন্ত্রী চন্দ্রনাথের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘পার্টি অফিস বন্ধ কেন থাকবে? পার্টি অফিসের সামনে কাজ হচ্ছে। তাই বন্ধ। আমরা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের অনুগামী। দাদার নামকে কলুষিত করতে নোংরামি করছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’

তৃণমূল সূত্রে খবর, স্থানীয় রোজিনা খাতুনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে পার্টি অফিসটি তৈরি করা হয়েছিল। মাস কয়েক ধরেই বন্ধ ছিল সেটি। রোজিনা বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ি এটা। বাবু দাসকে পার্টি অফিস করার জন্য ভাড়া দিয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন থেকে বলেছেন কারও বাড়িতে পার্টি অফিস করা যাবে না, সে দিন থেকে অফিস বন্ধ। ওদের নিজেদের ঝামেলা, আমাদের এখানে এসে তালা ভাঙল, পতাকা লাগিয়ে দিল। ওরাও তৃণমূলের লোক। অন্য এলাকার৷’’

Anubrata Mondal Birbhum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy